জৈশ-এর নতুন স্ট্র্যাটেজিতেই ধাক্কা! উপায় খুঁজছে প্রশাসন
আদিল আহমেদ দার কে কি ছোট করে দেখাটাই কাল হল গোয়েন্দাদের। পুলওয়ামা হামলার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আদিল আহমেদ দার কে কি ছোট করে দেখাটাই কাল হল গোয়েন্দাদের। পুলওয়ামা হামলার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হুমকি কিংবা আশঙ্কার নিরিখে জৈশ-এর একেবারে নিচের দিকের জঙ্গি ছিল আদিল আহমেদ দার। যদিও তার হাতেই স্বাধীন ভারতে কাশ্মীরের সব থেকে জঙ্গি হামলার দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল জৈশ। যাতে মৃত্যু হয় ৪০-এর বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, গোয়েন্দা আধিকারিকদের তালিকায় গ্রেড সি জঙ্গি ছিল আদিল। ফলে তার ওপর সেভাবে নজরদারি চালানো আশঙ্কার নিরিখে একেবারের নিচের দিকের জঙ্গিকে বড় দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনায় নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে গোয়েন্দা মহলে।
ভারতে জৈশ জঙ্গি সংগঠনের ওপরদের দিকের অনেকেই পেরিয়া যাওয়া সময়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা গিয়েছে অথবা কার্যকলাপ কম করতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই যদিও তারই মধ্যে নতুন পদ্ধতি বেছে নিয়েছে এই জঙ্গি সংগঠন। এমন যুবকদের বেছে নেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা গোয়েন্দা বাহিনীর নজরে না পড়ে। এইভাবে এক লোপ্রোফাইল জঙ্গিকে বড় দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি বলেও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। তবে এই ধরনের হামলা, সিরিয়া কিংবা আফগানিস্তানে হয়।
গতবছরেই স্থানীয় পর্যায়ে ১৯২ যুবক বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনে নাম লিখিয়েছিল। আদিল দারও জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছিল গত বছর। দ্বাদশ শ্রেণির পড়া শেষ করে বাড়ি ছাড়ে সে। চলে যায় জম্মুতে। জানিয়েছে তার বাবা গুলাম হাসান দার। আক্রমণকারী জঙ্গির পরিবার থাকে পুলওয়ামার কাকাপোরা এলাকায়। যা ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিমি দূরে।
কাশ্মীরে জঙ্গিদের বিভিন্ন ক্যাটেগরি রয়েছে। যার শুরু এ++ থেকে। রয়েছে এ+, বি ++ এবং বি+, সি। সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামার হামলায় শুধু আদিলই নয়, এই দলে যুক্ত করা হয়েছিল আরও ৪ থেকে ৫ জনকে। যারা মোটের ওপর সি ক্যাটেগরি ভুক্ত।
গোয়েন্দা সূত্রে গাড়ি বোমা হামলার কথা জানা গেলেও, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু পাওয়া যায়নি হামলার আগে। বিষয়টি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকও হয়। কোনও সিদ্ধান্তেও পৌঁছনো যায়নি।