চীন নয়, আইটিবিপি-র নয়া দুশমন হৃদরোগ!
ভারতের সঙ্গে চীনের ৩৪৮৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। পুরোটাই দুর্গম পার্বত্য এলাকা। চীনের দুর্ধর্ষ কমান্ডোদের এই পাহাড়ি যুদ্ধে যারা ঠেকাতে সক্ষম, তারা হল আইটিবিপি। তাই এই দীর্ঘ সীমান্তে নজরদারির গুরুভার তাদেরই কাঁধে। অথচ গত ছ'মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৬ জন আইটিবিপি জওয়ানের। এদের সবার বয়সই ৩৫ বছরের কম।
কেন এমন অবস্থা? ভারত-চীন সীমান্তে উচ্চতাজনিত কারণের পাশাপাশি হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় আকছার কাহিল হয়ে পড়েন আইটিবিপি জওয়ানরা। অক্সিজেনের স্বল্পতার কারণে অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে হয় হৃৎপিণ্ডকে। তার ওপর ভুল খাদ্যাভাসের কারণে অবস্থা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। রান্নায় বাদাম তেল, সর্ষের তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। চপচপে ঘিয়ে মাখানো রুটি, পরোটা বিরূপ প্রভাব ফেলছে স্বাস্থ্য। তাই হৃদরোগ প্রাণঘাতী দুশমন হয়ে উঠেছে। গত ছ'মাসে যেখানে ১৬ জন জওয়ান মারা গিয়েছেন, সেখানে তার আগের বছরে সংখ্যাটা ছিল ৫০!
আইটিবিপি ডিরেক্টর জেনারেল সুভাষ গোস্বামী তাই সীমান্তে জওয়ানদের উদ্দেশে কড়া বার্তা পাঠিয়েছেন। বলেছেন, তেল-ঘি খাওয়া কমাতে হবে। খাবারে নুন কম দিতে হবে। কারণ বেশি নুন খেয়ে রক্তচাপ বেড়ে যাচ্ছে। ডিরেক্টর জেনারেল এই নির্দেশের পর আইটিবিপি একটি ৬৯ পাতার পুস্তিকা তৈরি করেছে। কী খাওয়া যাবে, রান্নার কী কী নিষিদ্ধ হবে, ইত্যাদির বর্ণনা রয়েছে পুস্তিকাটিতে। জোর দেওয়া হয়েছে শুকনো ফল, বিস্কুট ইত্যাদি খাওয়ার ব্যাপারে। কোনও জওয়ান এই নির্দেশ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কমান্ডারকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।