কালো টাকার সন্ধানে তিন রাজ্যে আয়কর হানা, উদ্ধার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি
কালো টাকা ফেরাতেই নোট বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে কালো টাকা কতটা ফেরানো গিয়েছিলে সেই সংখ্যাটা এখনও অজানা তবে সাধারণ মানুষ যে প্রবল হয়রানির স্বীকার হয়েছিলেন সেকথা সকলেরই জানা।
কালো টাকা ফেরাতেই নোট বাতিল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে কালো টাকা কতটা ফেরানো গিয়েছিলে সেই সংখ্যাটা এখনও অজানা তবে সাধারণ মানুষ যে প্রবল হয়রানির স্বীকার হয়েছিলেন সেকথা সকলেরই জানা। মোদী-২ সরকার অবশ্য দাবি করেছে কালো টাকা যে ফেরানো সম্ভব হয়েছে তা দেশের আর্থিক বিকাশই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে।
দুর্নীতি মুক্ত দেশ চালাতে এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে মোদী-টু সরকার। আমলা থেকে পদস্থ সরকারি আধিকারিকস রাজনৈতিক নেতা মন্ত্রী কাউকেই রেয়াত করা হচ্ছে না।
রবিবার দিনই দিল্লি, হরিয়ানা এবং হিমাচল প্রদেশের ১৩টি জায়গায় হানা দিয়ে হিসাব বহির্ভুত ২০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তার মধ্যে কালো টাকা পাওয়া গিয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের এই টাকা দিয়ে ফায়দা তোলার কাজ করত একটি দল। এমনই জানিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালী এক ব্যক্তি এই বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে নানা ভাবে নিজের ক্ষমতার ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেন। এবং সুবিধা পাইয়ে দিতেন। গত কয়েক দশক ধরে এভাবেই টাকা বাজার থেকে তুলছিলেন তিনি। যার কোনও হিসেব ছিল না।
তদন্তে নেমে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা গত ২৩ জুলাই জানতে পেরেছিলেন, হিসাব বহির্ভুত ভাবেই অর্থের আদান প্রদান চলছে একটি দলের মধ্যে। এবং নির্মাণ শিল্পে সেই অর্থের বিনিয়োগ করা হচ্ছে। সেই কালো টাকার সন্ধানে এই তল্লাশি অভিযান শুরু করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
ব্রিটেন, দুবাই, পানামা সহ একাধিক জায়গায় বাড়ি কিনেছিলেন ওই ব্যক্তি। তাতেই সন্দেহ হয় আয়কর দফতরের। অর্থের যোগান কোথা থেকে আসছে তার সন্ধানে নেমেই বিপুল পরিমাণ বেআইনি সম্পত্তি এবং কালো টাকার হদিশ মেলে।