ISIS জঙ্গি মেয়ে আফগানিস্তানে জেলবন্দি, দেশে ফেরানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন বাবার
ISIS জঙ্গি মেয়ে আফগানিস্তানে জেলবন্দি, দেশে ফেরানোর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন বাবার
আফগানিস্তানের জেলে আটক রয়েছে মেয়ে, নাতনি। তাদের প্রত্যার্পণের বন্দোবস্ত করুক ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এমন আবেদনই জানিয়েছিলেন কেরলের ভি জে সেবাস্টিয়ান ফ্রান্সিস। এই ইস্যুতে এবার সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
ISIS-এ যোগ দিয়েছিল কেরলের মেয়ে!
কেরলের এরনাকুলাম জেলার বাসিন্দা ফ্রান্সিস নিজের আবেদনপত্রে জানান, তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে আনলফুল অ্যাক্টিভিটি প্রিভেনশন ও অন্যান্য আইনে অভিযোগ দায়ের করেছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তিনি বলেন, তাঁর জামাতা এবং মেয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেটে যোগ দিয়েছে এবং এশিয়ার দেশগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা পরিকল্পনার অঙ্গ। ফ্রান্সিসের কথায়, আফগানিস্তান পৌঁছোনোর পরই তাঁর জামাতা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে এবং মারা যায়। অসহায় অবস্থায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় তাঁর মেয়ে এবং নাতনি। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এই ঘটনা ঘটে।
কী বলছে সুপ্রিম কোর্ট!
এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। কোনওভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে যদি ফ্রান্সিস সন্তুষ্ট না হন, সেক্ষেত্রে কেরল হাইকোর্টে আবেদন করার কথাও বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সর্বোচ্চ আদালত বলে, 'আমরা সরকারকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারি৷ যদি সেই সিদ্ধান্তে আপনি সন্তুষ্ট না হন, তাহলে কেরল হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন৷ আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়ার অধিকার হাইকোর্টেরও রয়েছে। আমরা হাই কোর্টের সেই অধিকার কখনই কেড়ে নিতে পারি না।'
আফগানিস্তানেই ফ্রান্সিসের মেয়ে!
ফ্রান্সিসের আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল গত বছরের জুলাই মাসেই আবেদন করেছিলেন। ঘটনাচক্রে তার পরের মাসেই তালিবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে। তালিবান শাসনে সমস্ত সংশোধনাগার ভেঙে দেওয়া হলেও এটা বলা যাচ্ছে না যে এই মুহূর্তে ফ্রান্সিসের মেয়ে এবং নাতনি মুক্ত অবস্থায় রয়েছেন৷ কারণ, এমন রিপোর্টও রয়েছে যে, কয়েদিরা আফগানিস্তান সীমান্তে আটক রয়েছেন।