সিবিআই স্ক্যানারে চিটফান্ড তদন্তের আধিকারিক রাকেশ আস্থানা! জেনে নিন বিস্তারিত
ক্ষমতা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সিবিআই-তেও। যা চলে এসেছে প্রকাশ্যে। দেশের সব থেকে বড় তদন্তকারী সংস্থার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সেখানকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ক্ষমতা নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব সিবিআই-তেও। যা চলে এসেছে প্রকাশ্যে। দেশের সব থেকে বড় তদন্তকারী সংস্থার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে সেখানকার ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে লেখা চিঠিকে ঘিরে সিবিআই-এর সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলা দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। চিঠিতে বলা হয়েছে, পদ মর্যাদায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার কোনও আইনগত অধিকার নেই ডিরেক্টর অলোক বর্মার অনুপস্থিতিতে তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার। সিভিসির কাছে এমনও অভিযোগ করা হয়েছে, ফৌজদারি মামলার কারণে সন্দেহের তালিকায় থাকা বেশ কিছু অফিসারকে সিবিআই-এর অধীনে নিয়োগ করা হয়েছে। সিভিসিকে দেওয়া চিঠিতে এও বলা হয়েছে, আস্থানা নিজেও সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছেন। ডিরেক্টরের অবর্তমানে সিবিআই-এ অফিসারদের নিয়োগ করা হলেও, সেক্ষেত্রে নিজের মত দিয়েছেন, কিন্তু তিনি কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি।
সিবিআই-এর বিরুদ্ধে এই ধরনের প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় বিরোধীরাও সরকারকে একহাত নিয়েছে। তাদের প্রশ্ন, যদি পিএমও, বিজেপি কিংবা সঙ্ঘ পরিবারের কাছ থেকে সুপারিশ এসে থাকে, তখন সিবিআই কী করছে।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কংগ্রেস মুখপত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, সিবিআই-এর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে। যাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত করছে, তাদের কেন নিয়োগ করছে সিভিসি। আর সিবিআই-এর তরফে যদি অফিসার নিয়োগের জন্য সুপারিশ না করা হয়, তাহলে কি পিএমও, বিজেপি কিংবা সঙ্ঘ পরিবারের কাছ থেকে সুপারিশ আসছে।
প্রসঙ্গত সারদা, রোজভ্যালির মতো গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন রাকেশ আস্থানা। গতমাসেই তিনি কলকাতায় এসে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বৈঠক করেছিলেন।
এর আগে বিহারে পশুখাদ্য মামলার তদন্তে জড়িত ছিলেন রাকেশ আস্থানা। পরবর্তী পর্যায়ে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে গুজরাতের গোধরা তদন্তও সম্পন্ন করেছিলেন তিনি।
মোদী সরকারের চার বছর পূর্তি উৎসব হয়ে গিয়েছে। এখন সামনে লোকসভা নির্বাচন। রাজ্যে শাসকদলের বিরুদ্ধে যেসব মামলা নিয়ে বিরোধীরা শোরগোল তুলেছিলেন, তার মধ্যে সারদা-নারদা-রোজভ্যালি উল্লেখযোগ্য। সেই মামলাগুলি নিয়ে মমতা-মোদীর সমঝোতার অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যের বাম-কংগ্রেস। বিজেপির তরফেও মামলাগুলি নিয়ে দিল্লিতে দরবার করা হয়েছিল।