চিন-ভারত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাঝে উঠে আসছে পল্লব রাজত্ব থেকে বোধিধর্মনের ইতিহাসের কথা
১১ অক্টোবর ২০১৯ এর দুপুরে আজ মহাবলীপুরমের কাছে মামাল্লাপুরমে বহু প্রতিক্ষিত বৈঠকে বসছেন নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং। এককালে যে শহর ছিল ভারতের অন্যতম নামী বন্দরনগরী ।
এদিন মহাবলীপুরমে বহু প্রতীক্ষিত বৈঠকে বসছেন নরেন্দ্র মোদী ও শি জিনপিং। এককালে যে শহর ছিল ভারতের অন্যতম নামী বন্দরনগরী। চিন ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে যখন দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আলোচনা ঘিরে উচ্ছ্বাস , উদ্দীপনায় ফেটে পড়েছে মহাবলীপুরম, তখন এর আবহে উঠে আসছে ইন্দো- চিন সম্পর্কের এক ইতিহাস। যে ইতিহাস আষ্টেপিষ্টে জড়িয়ে রেখেছে এককালে ভারতের বাণিজ্যনগরী তথা পল্লব রাজবংশের দাপটে থাকা শহর মহাবলীপুরমকে। এই ইতিহাস উস্কে দিচ্ছে বহু শতাব্দী আগের ইন্দো-চিন সম্পর্কের বহু ঘটনার কথা।
সপ্তম শতাব্দীর কাহিনি ও ইন্দো-চিন সম্পর্ক
মোদী- জিনপিং-এর বৈঠকে আজ আলোচিত হতে চলেছে রাজনৈতিক থেকে বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয়। সেরকমই সপ্তম শতাব্দীতেও চিনের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক ঐতিহাসিক ঘটনা ঘটে যায় এই শহরেই। সেই সময় চিনা পরিব্রাজক হিউ এন সাংকে এই শহরে স্বাগত জানান পল্লব রাজপুত্র মহেন্দ্র পল্লব। যার পর থেকে চিনের ইতিহাসে পল্লব রাজাদের নাম শোনা যায় বলে দাবি স্থানীয়দের।
পল্লব রাজত্ব ও মামাল্লাপুরমের ইতিহাস
পল্লব
রাজবংশের
রাজধানী
ছিল
কাঞ্চিপুরম।ষষ্ঠ
থেকে
সপ্তম
শতাব্দীতে
যার
খ্যাতি
ছিল
বিশ্বময়।
আর
এই
পল্লবদের
অন্যতম
নামী
বন্দর
ছিল
মামাল্লাপুরম।
'মামাল্লাপুরম'
অর্থাৎ
মামাল্লার
রাজত্ব।
যা
পল্লবরাজ
নরসিংহবর্মনের
নাম
অনুযায়ী
নামকরণ
হয়।
এই
শহরের
মাধ্যমেই
চিনের
সঙ্গে
বাণিজ্যিক
সম্পর্ক
পাকা
হয়
ভারতের।
যা
পল্লব
আমলে
একটি
বিশেষ
অধ্যায়
হয়ে
রয়েছে।
আর
আজ
সেই
শহরেই
ফের
একবার
ভারত-চিন
দ্বিপাক্ষিক
আলোচনা
চলছে।
তামিল রাজপুত্র ও বোধি ধর্মনের ইতিহাস
ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে তামিলনাড়ুর সঙ্গে চিনের আরও এক সংযোগের ঘটনা পাওয়া যায়। এই ঘটনা তামিল রাজপুত্র বোধিধর্মনকে নিয়ে। তিনি চিনে গিয়ে শুধু বৌদ্ধ ধর্মই গ্রহণ করেননি, 'ধ্যান' এর এক আলাদা পর্বের জন্ম দেন তিনি। বলা হয় , চৈনিক মার্শাল আর্টসে এক অনন্য অধ্যায়ের রূপকার এই বোধিধর্মন। যা চিন , ভারত দুটি দেশের ইতিহাসে এক নতুন পর্বের জন্ম দিয়েছে।
(প্রতীকি ছবি)
[জিনপিংয়ের সফর ঘিরে বিক্ষোভ, চেন্নাইয়ে গ্রেফতার পাঁচ তিব্বতী]
[ বেজিং-দিল্লি একজোট হলে শুনবে গোটা বিশ্ব, দাবি চিনের সংবাদ মাধ্যমের]