চিনের ড্রাগন বাহিনীর সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকে ভারতীয় সেনা! লাদাখ সীমান্তে ঠিক কী ঘটে যাচ্ছে
ভারতীয় সেনার কর্পস কমান্ডার ও চিন সেনার প্রতিনিধিদের মধ্যে সমোবার কার্যত ১১ ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক চলেছে। তবে লাদাখ সীমান্তে মল্ল যুদ্ধের পর এই বৈঠকের হাত ধরে শান্তির আশা করা হলেও , তা এখনও প্রাপ্তি হয়নি বলেই খবর। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে লাদাখ সীমান্তে কী ঘটছে , তার কিছু তথ্য় দেখে নেওয়া যাক।
হাইভোল্টেজ ম্যারাথন বৈঠক
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টা থেকে ভারত চিন সীমান্তের মলদো এলাকার চুসুল সেক্টরে দুই পক্ষের সেনার মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। সকাল সাড়ে ১১ টা থেকে শুরু হওয়া আলোচনা শেষ হয়েছে রাত সাড়ে ১১ টায়। যদিও শেষমেশ কোনও সমাধান সূত্র পায়নি দুই পক্ষই।
পূ্র্ব লাদাখ ও কিছু আশা আশঙ্কা
পূর্ব লাদাখ সীমান্তে দুই দেশের সেনার মধ্যে এই আলোচনার পর্ব এদিন , অর্থাৎ মঙ্গলবারও চলবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে ৬ জুন দুই পক্ষের আলোচনা হয়। যার পরপরই চিনের সেনা ২ পা পিছিয়ে ৪ পা এগিয়ে আসে। লাদাখ সীমান্তের সংঘর্ষে ২০ ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। এরপর ছেড়ে কথা বলেনি ভারত।
সহজে নিচ্ছেনা ভারত
লাদাখ সীমান্তে আস্ফালন করছে চিন। গালওয়ান উপত্যকা নিজেদের বলে দাবি করে সুর চড়িয়ে চলেছে। এই পরিস্থতিতে ভারতও চুপ করে বসে থাকতে রাজি নয়। তলে তলে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেনা বাহিনীর প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে কাশ্মীর এবং লেহ-তে যাচ্ছেন সেনা প্রধান জেনারেল নারাভানে।
এক চুল জমিও ছাড়া হবে না
চিনের আগ্রাসনকে মোক্ষম জবাব দিয়ে ভারত বুঝিয়ে দয়েছে 'সূচাগ্র মেদিনী' ভারত বিনা প্রতিরোধে চিনকে ছাড়তে রাজি নয়। এদিকে, নরভানের সীমান্ত পরিদর্শন ইস্যুও এই মনোভাবেরও নামান্তর বলে মনে করা হচ্ছে। চিনের সঙ্গে উস্কানি শুরু করেছে পাকিস্তানও। তাই দুই প্রতিবেশীকে কড়া জবাব দিতে লেহ এবং কাশ্মীরের সেনা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন সেনা প্রধান। দুই সীমান্তে এলএসি বরাবর যাতে পর্যাপ্ত সেনা মোতায়েন থাকে সেটা নজরে রাখাই তাঁর কাশ্মীর সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এর অন্তরালে অন্য স্ট্র্যাটেজিও থাকতে পারে।
জম্মু ও কাশ্মীর: ফের রক্তাক্ত পুলওয়ামা! রুদ্ধশ্বাস সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ