মহারাষ্ট্রের কৃষকদের পর এবার ৫০ হাজার কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পথে
চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার রেলকর্মী যারা বিভিন্ন রেল ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত, একসঙ্গে সংসদে পদযাত্রা করে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন।
চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার রেলকর্মী যারা বিভিন্ন রেল ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত, একসঙ্গে সংসদে পদযাত্রা করে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাবেন। তাঁদের মূল দাবি, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম তুলে দিতে হবে এবং ন্যূনতম মজুরি বাড়াতে হবে। বর্তমানে রেলকর্মীদের ন্যূনতম বেতন ১৮ হাজার টাকা রয়েছে। তা বাড়িয়ে ২৬ হাজার টাকা করার দাবি রাখা হয়েছে।
রেলকর্মীদের দাবি
২০০৪ সাল বা তার পরে চাকরিতে যোগ দেওয়া কর্মীদের ক্ষেত্রে এনপিএস মোতাবেক ন্যূনতম পেনশন বা ফ্যামিলি পেনশন নিশ্চিত নয়। যদিও প্রতি মাসে বেতনের ১০ শতাংশ তাদের সেই খাতে দিতে হচ্ছে। এরই বিরোধিতা করে বিবৃতি দিয়েছেন অল ইন্ডিয়া রেলওয়েমেনস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক গোপাল মিশ্র।
রেলকর্মীদের আশ্বাস
সারা দেশ থেকে রেল কর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। যদিও রেলকর্মীদের বিক্ষোভে দেশজুড়ে রেল পরিষেবার কোনওরকম সমস্যা হবে না বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রেলকর্মীদের গোপন ব্যালট
তাদের দাবি মানা না হলে কী করা উচিত, এটা জানতে চেয়ে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রেল ইউনিয়নের তরফে গোপন ব্যালটে মতামত নেওয়া হয়। তাতেই ৯ লক্ষ রেলকর্মচারীর মধ্যে ৯৫ শতাংশ জানিয়েছে ধর্মঘটে যাওয়া উচিত। এর মধ্যে ১৭টি জোন ও সাতটি প্রোডাকশন ইউনিটও রয়েছে।
এনপিএস তুলে দেওয়ার দাবি
রেলকর্মী সংগঠনের অভিযোগ, দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে অবসরপ্রাপ্ত রেল কর্মীদের পেনশন নিশ্চিত করা গিয়েছিল। তবে ২০০৪ সালের জানুয়ারি মাসে এনপিএস চালু করার পরে তা কার্যত তুলে দেওয়া হয়েছে।
রাজনাথের কমিটি
গতবছরে রেলকর্মীদের বিক্ষোভ ও উষ্মাকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়। তবে এখনও সরকার কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে আগামিদিনে ব্যবস্থা না নিলে ফল ভয়ঙ্কর হবে বলে কর্মচারী ইউনিয়ন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
অতীত ইতিহাস
১৯৭৪ সালে রেলকর্মীরা এভাবেই বেতন বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিল। স্ট্রাইক শুরু হয়। যা প্রায় তিন সপ্তাহ চলেছিল। যার ফলে সারা ভারতে জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। এবারও দাবি মানা না হলে সেরকমই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।