'আইসিউ-তে চলে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি', আশঙ্কাবাণী খোদ মোদী সরকারের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টার গলায়
আইসিউ-তে চলে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি। এমই আশঙ্কাবাণী শোনালেন দেশের প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রমনিয়ান। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তৃতা রাখার সময় অরবিন্দ বলেন, 'এটা স্পষ্ট যে এটা কোনও সাধারণ আর্থিক স্লোডাউন না। এটা হল ভারতের অন্যতম বৃহৎ আকারের আর্থনৈতিক স্লোডাউন। ভারতের অর্থনীতি এখন আইসিউ-র দিকে এগোচ্ছে।'
দ্বিতীয় টুইন ব্যালেন্স শিট ক্রাইসিস
অরবিন্দ টুইন ব্যালেন্স শিট ক্রাইসিসের কথ বলেন। অরবিন্দের মতে ভারত এই মুহূর্তে দ্বিতীয় টুইন ব্যালেন্স শিট ক্রাইসিসের সম্মুখীন। প্রথমটি ভারত দেখেছিল ২০০৪-২০১১ সালের মধ্যে। সেই সময় বিনিয়োগের বাড়বাড়ন্তের সময়ে স্টিল, বুনিয়াদি শিল্পগুলিকে দেওয়া ব্যাঙ্কের ঋণ পরিষোধ না হওয়ায় সেই সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। এবারও মোটামুটা তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
ঋণ পরিশোধ না হওয়ার ফলে এই প্রবৃদ্ধির হ্রাস
এদিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে যে গত দুই বছরে দেশের প্রায় সব ব্যাঙ্কের আর্থিক বৃদ্ধি কমেছে। ব্যাঙ্কের উপর ঋণের বোঝা চেপেছে প্রায় ৮.৮ শতাংশ। যা ভয়ঙ্কর রকমের বেশি বলে দাবি করেছেন অর্থনীতিবিদরা। পাশাপাশি ঘাটতি ধেখা দিয়েছে মূলধনের ক্ষেত্রে। এদিকে অনাদায়ী ঋণ ফেরানো তো দূরের কথা এখনও একাধিক ব্যাঙ্কে প্রায় ৩৭,০০০ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ জমে গিয়েছে। ব্যাঙ্কগুলির হাল ফেরাতে প্রায় ৫ বার রেপোরেট কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তারপরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ছে না। এই বিষয়টি তুলে ধরেন আরবিন্দও।
শিল্পে মন্দা
দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা, বুনিয়াদি শিল্পে উৎপাদন সংকোচন, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা সহ বিভিন্ন বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশও করেন। এছাড়া অতিবৃষ্টির কারণে কৃষি ফলন নষ্ট ও খনন প্রক্রিয়া ব্যহত হয়। এর আগে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ সকলেই চলতি অর্থবছরে ভারতের বৃদ্ধির অনুমান কমিয়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল।