গুজরাত উপকূলের কাছে আটক করাচিগামী জাহাজ, মিলল মিসাইল তৈরির সন্দেহজনক উপকরণ
গুজরাত উপকূলে আটক হংকং-এর পতাকা বহনকারী, করাচির দিকে যাওয়া একটি জাহাজ। কাস্টমসের তল্লাশিতে সেই জাহাজে মিলেছে সন্দেহজনক বস্তু।
গুজরাত উপকূলে আটক হংকং-এর পতাকা বহনকারী, করাচির দিকে যাওয়া একটি জাহাজ। কাস্টমসের তল্লাশিতে সেই জাহাজে মিলেছে সন্দেহজনক বস্তু। জাহাজের তরফে সেখানে থাকা যন্ত্রকে অকোক্লেভ এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ড্রায়ার বলা হলেও, তা ব্যালাস্টিক মিসাইলে ব্যবহৃত বস্তু বলেও সন্দেহ।
জাহাজটিকে রাখা হয়েছে কান্দলা বন্দরে
জানা গিয়েছে ৩ ফেব্রুয়ারি ধরা জাহাজটিকে রাখা হয়েছে কান্দলা বন্দরে। সেখানেই ডিআরডিও-র আধিকারিকরা জাহাজটিকে পরীক্ষা করেছেন। পাশাপাশি দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার জন্য নিউক্লিয়ার সায়েন্টিস্টদেরও সেখানে পাঠানো হচ্ছে। জাহাজে থাকা বড় অটোক্লেভগুলিকে তারা পরীক্ষা করে দেখবেন।
চিনের জিয়াংশু প্রদেশ থেকে ছেড়েছিল জাহাজটি
জানা গিয়েছে চিনের জিয়াংশু প্রদেশের আনজে নদীতে থাকা জিয়ানইন বন্দর থেকে ছেড়েছিল জাহাজটি। কান্দলায় সেটি নোঙর করে, করাচির পোর্ট কাসিম-এ যাবে বলে।
জাতীয় নিরাপত্তায় গুরুত্ব
গুজরাতের বন্দরে আটক এই জাহাজের কথা নিরাপত্তার কারণে সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানানো হয়। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও জানানো হয়। সেই কারণে এখনও পর্যন্ত বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। দ্য কুই উন নামের জাহাজটিতে হংকং-এর পতাকা ছিল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার পরেই জাহাজটিকে আটক করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে জাহাজের জিনিসপত্র
ডিআরডিও-র প্রথম দলের মতো দ্বিতীয় দলও যদি একই রিপোর্ট দেয়, তাহলে জাহাজের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে। জাহাজ ও তার মালিকের বিরুদ্ধে রপ্তানি আইন ভঙ্গের অভিযোগও আনা হতে পারে।
একাধিক বিষয়ে সন্দেহ
জাহাজটি
করাচির
পোর্ট
কাসিমে
যাচ্ছিল।
সেখানেই
রয়েছে
পাকিস্তানের
ব্যালেস্টিক
মিসাইল
তৈরির
আঁতুর
ঘর।
এছাড়াও
চিন
ও
পাকিস্তানের
মধ্যে
পারমানবিক
সাহায্যে
পালা
চলছে
১৯৮৯
সাল
থেকে।
এই
জাহাজে
সেরকমই
কিছু
সাহায্য
পাঠানো
হচ্ছিল
বলে
সন্দেহ।
এছাড়াও
এই
জাহাজ
মনে
করিয়ে
দিচ্ছে
১৯৯৯
সালে
কার্গিল
যুদ্ধের
সময়ের
কথা।
সেই
সময়
কান্দলাতেই
আটক
করা
হয়েছিল
উত্তর
কোরিয়ার
জাহাজ।
তাতে
ছিল
মিসাইল
তৈরির
জিনিস।