চমরী গাই পাঠিয়ে ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি চিনের? লাদাখ সংঘাতের আবহেই কি নতুন কৌশল?
চমরী গাই পাঠিয়ে ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি চিনের? লাদাখ সংঘাতের আবহেই কি নতুন কৌশল ?
ইতিমধ্যেই সামনে এসেথে লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার রণ সজ্জার ছবি। সংঘাতের আবহে দুদেশের মধ্যে ক্রমেই চড়ছে উত্তেজনার পারদ। পাশাপাশি সোমবার রেজাংলায় গুলি চালানোর ঘটনার ঘিরে দুদেশের মধ্যে চলছে উত্তপ্ত বাদানুবাদ। এমতাবস্থায় সেনার মাঝে চমরী গাই পাঠিয়ে নজরদারির ক্ষেত্রে নতুন কৌশলের অবলম্বন করতে দেখা গেল চিনকে।
চিনা ভূখণ্ড থেকেই ভারতে প্রবেশ
সূত্রের খবর, ৩১ আগস্ট বিকেলে অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্ররেখার কাছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের জওয়ানেরা বাছুর সহ একপাল চমরি গাইকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন। পরে যানা যায় এই চমরী গাইয়ের দল অরুণাচলপ্রদেশের চিনা ভূখণ্ড থেকেই ভারতীয় সীমায় ঢুকে পড়েছে।
নতুন ফন্দি আটছে চিন ?
এদিকে এই ঘটনায় ক্রমেই জোরদার হচ্ছে ভারতীয় সেনার উপর নজরদারি চালাতে চিনের নতুন কারসাজির তত্ত্ব। যা নিয়ে ক্রমেই জমে উঠেছে নতুন তরজা। বিশেষজ্ঞদের মত যুদ্ধে ক্ষেত্রে বন্যপ্রাণীকে হাতিয়ার করে নজরদারির ঘটনা বিংশ শতাব্দীতেও প্রায়শই দেখা যেত। তবে এই ক্ষেত্রে এই চমরীর পাল দলছুট হওয়ার কারণে ভারতীয় সীমায় ঢুকে পড়েছে নাকি এর পিছনে চিনের কারসাজি রয়েছে সেই বিষয়ে সঠিক ভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি।
কীভাবে নজরদারি চালানো সম্ভব ?
নজরদারি চালাতে গোয়ান্দারা অনেকসময়ই ইলেকট্রনিক ও রোবটিক যন্ত্র লাগিয়ে এই ধরণের পশুদের শত্রুপক্ষের দিকে ছেড়ে দেন। গোপন ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি, সিগন্যাল, শত্রুপক্ষের অবস্থান জানতে এই পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রেই বিশেষ কাজ দেয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার চিনের ফেরত পাঠানো হয় চমরীর দলকে
এদিকে গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ভারতীয় ভূখণ্ডেই ছিল এই অবলা প্রাণীর দল। কয়েক দিন ধরে ভারতের মাটিতেই ঘাস-পাতা খেয়ে দিন কাটছিল চমরীর দলটার। পরবর্তীতে চলতি সপ্তাহের সোমবার বাছুর সহ ১৩টি চমরী গাই লালফৌজের হাতে তুলে দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড।
১৯৬২-র ভারত-চিন যুদ্ধ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল কমিউনিজমকে, দু-ভাগ হয়েছিল পার্টি