লাদাখকে দুর্গে পরিণত করছে ভারতীয় সেনা! চিনকে বোকা বানাতে তৈরি হচ্ছে মানালি-লেহ সড়ক
মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত নতুন সড়ক তৈরি করছে ভারত৷ শত্রু শিবিরের নজর এড়িয়ে লাদাখে চিন ও পাকিস্তান সীমান্তে সেনা ও ট্যাঙ্ক মোতায়েন করতেই এই সড়কপথ তৈরি হচ্ছে৷ লাদাখের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বাকি দেশের যোগাযোগের জন্য এটি তৃতীয় সড়ক৷ বিগত প্রায় তিন বছর ধরে সাব সেক্টর নর্থের সঙ্গে বিকল্প সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের কাজ করছে দিল্লি৷ এই সাব সেক্টর নর্থের দৌলত বেগ ওলডি ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি এলাকা কৌশলগত দিক থেকে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ৷ বিশ্বের উচ্চতম রাস্তা খারদুং লা থেকে এই বিকল্প যোগাযোগের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।
মানালি থেকে লেহ পর্যন্ত সড়ক
সরকারের তরফে সংবাদ সংস্থাকে এএনআইকে জানানো হয়, 'মানালি থেকে লেহ যাওয়ার জন্য নিমু-পাদম-দারচা হয়ে একটি বিকল্প সড়ক তৈরির কাজ চলছে। বর্তমানে যে দু'টি রাস্তা রয়েছে তার মধ্যে একটি শ্রীনগর থেকে জোজি লা হয়ে ও অন্যটি মানালি থেকে সারচু হয়ে লেহ পৌঁছায়। নতুন যে রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে তাতে বর্তমানের এই দু'টি রাস্তার থেকে অনেক কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।'
সেনার জন্যে বিশাল লাভদায়ক এই রাস্তা
এই বিকল্প পথটি দিয়ে মানালি থেকে লেহ পৌঁছাতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় কম লাগবে। পাশাপাশি, এই রাস্তার উপর পাকিস্তান বা অন্য কোনও শত্রুপক্ষ নজর রাখতে পারবে না। ফলে শত্রুশিবিরের নজর এড়িয়ে খুব সহজেই লাদাখে সেনা ও অন্যান্য অস্ত্র নিয়ে যাওয়া যাবে।
চিন-পাকিস্তানের নজর এড়িয়ে সেনা পৌঁছাবে লাদাখ
জোজি লা থেকে যে রাস্তাটি রয়েছে সেটি দ্রাস-কার্গিল এলাকা হয়ে লেহ পৌঁছায়। ১৯৯৯ সালে কার্গিল যুদ্ধের সময় এই রাস্তাটির উপর নজর রাখত পাকিস্তানের সেনা। উঁচু পার্বত্য এলাকা থেকে এই রাস্তার উপর নজর রাখা অনেকটাই সহজ ছিল পাকিস্তানের জন্য। আর মাঝেমধ্যেই বোমা হামলা করা হত এই রাস্তার উপর। সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। মানালি থেকে এই রাস্তা নিমুর কাছাকাছি লেহ-র সঙ্গে যুক্ত হবে। প্রসঙ্গত ভারত-চিন সীমান্তে সংঘাতের বাতাবরণ চলাকালীন এই নিমুর কাছেই একটি ফরওয়ার্ড বেস পরিদর্শনে গেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লাদাখে পৌঁছাতে বিকল্প সড়কের প্রয়োজন সেনার
দুরবুক-শিয়ক-দৌলত বেগ ওলডির সংযোগকারী সড়কের বিকল্প হিসেবে নতুন এই রাস্তাটি গড়ে তোলা হচ্ছে। দুরবুক-শিয়ক-দৌলত বেগ ওলডি সংযোগকারী এই রাস্তাটি লাদাখের পূর্বপ্রান্তের সঙ্গে পশ্চিমপ্রান্তের যোগাযোগ স্থাপন করে। নতুন যে রাস্তাটি তৈরি হবে সেটি লেহ থেকে খারদুং লা হয়ে সাসোমা-সাসের লা-শিয়ক-দৌলত বেগ ওলডির বেশ কিছু হিমবাহের পাশ দিয়ে যাবে।
কৌশলগত ভাবে নয়া রাস্তা গুরুত্ব
বর্তমানে যে রাস্তাটি রয়েছে তার বিকল্প খোঁজার জন্য ১৪ কর্পসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। সিয়াচেন সেনা ছাউনির নিকটবর্তী রাস্তা পরীক্ষা করার জন্যও বলা হয়েছিল। সেই জন্য সেনার একটি ইউনিটকে বিকল্প পথে ট্রায়ালের জন্য পাঠানো হয়েছিল। ইউনিটটি সাসোমা থেকে সাসের লা পর্যন্ত গাড়িতে যায়। তারপর বাকি পথ পায়ে হেঁটে।
মোদীর বার্তা পৌঁছল শেখ হাসিনার কানে! ভারত-চিন দ্বন্দ্বের মাঝে বাংলাদেশের বড় প্রতিশ্রুতি