আত্মনির্ভর হতে একের পর এক যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি বাতিল করছে বায়ুসেনা
করোনার ধাক্কায় সব থমকে গেছে। কিন্তু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ঢিলে দিতে রাজি নয় ভারত। দেশের সংস্থার থেকেই তাই ৮৩টি তেজস যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে বায়ুসেনা। প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারত অভিযানের ঘওষণার পরই এই কথা জানানো হয়েছিল বায়ুসেনার পক্ষ থেকে। আরও একধাপ এগিয়ে এবার একের পর এক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ভাঙছে বায়ুসেনা।
যে যে চুক্তি বাতিল করল বায়ুসেনা
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সুইৎজারল্যান্ড থেকে ৩৮টি পিলাশস প্লেন কেনার কথা থাকলেও সেই চুক্তি বাতিল করে ভারত। এছাড়া ব্রিটেন থেকে ২০টি হক প্লেন কেনার চুক্তি বাতিল করে বায়ুসেনা। ৮০টি পুরোনো জাগুয়ারের ইঞ্জিন আপগ্রেডের চুক্তিও বাতিল করে।
HAL থেকে ৮৩টি তেজস কিনছে বায়ুসেনা
বায়ুসেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, ৮৩টি তেজস মার্ক-১এ এয়ারক্রাফ্টের জন্য হিন্দুস্থান এরোনটিক্স লিমিটেডের (হ্যাল)-এর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫৬ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়ছিল। সেই দাম ১৮ হাজার কোটি কমিয়ে ৩৮ হাজার কোটিতে এসে ঠেকেছে। তেজসের নয়া ভার্সন বানাচ্ছে হ্যাল। ক্ষিপ্রতায় ও আক্রমণের শক্তিতে তেজসের এই সুপারসনিক এয়ারক্রাফ্ট রাফালের চেয়েও এককাঠি উপরে।
মেক ইন ইন্ডিয়া
এদিকে গত সপ্তাহে প্রতিরক্ষা খাতে মেক ইন ইন্ডিয়া আর ভোকাল ফর লোকাল-এর মন্ত্র মাথায় রেখে এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, কিছু কিছু অস্ত্র আছে যা দেশেই তৈরি করা যায়। তাই এরকম অস্ত্র বিদেশ থেকে আর আমদানি করা হবে না। তা আমদানি করায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর মেক ইন ইন্ডিয়া-র স্বপ্নকে আরও দৃঢ় করতে এই সব এখন থেকে দেশেই তৈরি হবে।
প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের স্পেয়ার পার্টস আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা
পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের স্পেয়ার পার্টস আমদানি করতেও প্রতি বছর প্রচুর অর্থ খরচ হয়। কিন্তু এ বার থেকে সেগুলিও দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা করা হবে। যেই স্পেয়ার পার্টস দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হবে না, কেবল মাত্রই সেগুলি বিদেশ থেকে আনা হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলেই এই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আম্ফান
থেকেও
কী
বাংলাকে
বাঁচাবে
সেই
সুন্দরবন?
কী
বলছেন
বিশেষজ্ঞরা