ট্রায়ালের ব্যর্থতার গুঞ্জন সত্ত্বেও করোনারোধে ভারতে রেমডেসিভির প্রয়োগ! জানালেন স্বাস্থমন্ত্রী
ওষুধটি প্রয়োগ করা হয়েছিল মোট ২৩৭ জন রোগীকে। তাতে বিশেষ ফল মেলেনি। এমনকি কারোর শরীরে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পর্যন্ত লক্ষ্য করা গিয়েছে। রেমডেসিভির ওষুধের প্রথম মানব ট্রায়ালের রেজাল্টে নাকি উঠে এসেছে এমনটাই। যা করোনা যুদ্ধে ওষুধ বা ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে এক বড় ধাক্কা বলে মনে করা হয়েছিল।
কী বলছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন
তবে এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে মিলে সেই ওষুধেরই মানব প্রয়োগ করা হবে ভারতের ১০০০ জন রোগীর উপর। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষবর্ধন। যা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তিনি বলেন, 'এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইসিএমআর ও সিএসআইআর-এর গবেষকরা এই ইস্যুটি দেখছেন।'
হাজার রোগীর উপর প্রয়োগ করা হবে রেমডেসিভির
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এদিন জানান, করোনা রুখতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সলিডারিটি ট্রায়ালের অংশীদার ভারতও৷ তাই ভারতেও রেমডেসিভিরের ট্রায়াল হবে৷ ইতিমধ্যেই ১ হাজার ডোজ রেমডেসিভির পেয়েছে ভারত৷ গোটা দেশজুড়ে কিছু করোনা রোগীর উপরে ওই ওষুধের ট্রায়াল হবে৷
রেমডেসিভির কী?
রেমডেসিভির ওষুধটি এককালে বানানো হয়েছিল ইবোলা সংক্রমণে রোধের লক্ষ্যে। সেই সময়ও ওষুধটি বিশেষ কার্যসিদ্ধি করতে পারেনি। তবে বিজ্ঞানীরা আশা করছিলেন করোনা ভাইরাস রোধে বেশ কাজে দেবে এই ওষুধ। তবে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুযায়ী এই ওষুধের কার্যকারিতায় হতাশ হতে হয়েছে বিজ্ঞানীদের।
ওষুধের ব্যর্থতার কথা সামনে চলে আসে
২০১০ সালে এই অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির তৈরি করে গিলেড সায়েন্সস। রেমডেসিভির ওষুধের নির্মাতা সংস্থা জানিয়েছিল ৫৫০০ রোগীর উপরে এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। সেই ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে আনেনি সংস্থা। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্টে এই ওষুধের ব্যর্থতার কথা সামনে চলে আসে।
ওষুধের প্রভাব পর্যবেক্ষণে কী উঠে আসে?
সূত্রের খবর, মানুষের শরীরে এই ওষুধের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করছিলেন চিনের বিজ্ঞানীরা। সেখান থেকেই খবর আসে রেমডেসিভির করোনা আক্রান্তদের শরীরে তেমনভাবে কার্যকরী হয়নি। এই ওষুধ খাওয়ানোর পরেও রোগীদের সংক্রমণ কমার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি।