অস্ত্র কেনায় ভারতই পৃথিবীতে এক নম্বরে, জেনে নিন চমকে দেওয়া তথ্য
অস্ত্র আমদানিতে ভারত পৃথিবীর মধ্যে পয়লা নম্বর স্থানে রয়েছে। বিশ্বের মোট আমদানির মধ্যে ১২ শতাংশ ভারত করে। যা অন্য দেশের থেকে অনেক বেশি।
অস্ত্র আমদানিতে ভারত পৃথিবীর মধ্যে পয়লা নম্বর স্থানে রয়েছে। বিশ্বের মোট আমদানির মধ্যে ১২ শতাংশ ভারত করে। যা অন্য দেশের থেকে অনেক বেশি। ২০১৩-২০১৭ সালের হিসাব ধরে এই তথ্য পেশ করা হয়েছে। ভারতে অস্ত্র তৈরির গবেষণাগার ও ক্ষমতা রয়েছে। ডিআরডিওর মাধ্যমে সেই কাজ আমরা করতে পারি। তবে নানা সময়ে সরকার এসেছে এবং গিয়েছে। কেউই কার্যকর পদক্ষেপ করতে পারেনি। ফলে বিশ্বের প্রগতিশীল অর্থনীতি হয়েও এখনও অস্ত্র কিনতে উন্নত দেশের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয় ভারতকে।
আমদানি বেড়েছে হুহু করে
তথ্য বলছে, ২০০৮-২০১২ সাল ও ২০১৩-২০১৭ সালের মধ্যে ভারতে অস্ত্র আমদানি ২৪ শতাংশ বেড়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট সেরকম তথ্যই পেশ করেছে।
অস্ত্র কেনায় শীর্ষ স্থানাধিকারী দেশ
ভারতের পরই রয়েছে সৌদি আরব, মিশর, চিন, অস্ট্রেলিয়া, আলজেরিয়া, ইরাক, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ। ২০১৩-১৭ সালের মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ৬২ শতাংশ অস্ত্র সাপ্লাই করেছে রাশিয়া। তারপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৫ শতাংশ) ও ইসরায়েল (১১ শতাংশ)।
রাশিয়া ও ইসরায়েলে ভরসা
দেশ হিসাবে ধরলে রাশিয়া ও ইসরায়েল সবচেয়ে বেশি অস্ত্র ভারতকেই যোগান দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এশিয়ায় চিনের দাপাদাপি ঠেকাতে ভারতকে অস্ত্রের যোগান জুগিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮-২০১২ ও ২০১৩-২০১৭ সালের মধ্যে তা ৫৫৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।
মার্কিন সাহায্য
মার্কিন বিদেশনীতি অনুযায়ী কৌশলগত সম্পর্ক তৈরিতে অস্ত্র যোগান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় ও ওশিয়ানিয়ায় চিনের নিয়ন্ত্রণ আলগা করতে যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র যোগান দিয়ে চলেছে। এবং একই কারণে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়িয়ে চলেছে।
চিনের অস্ত্র ব্যবসা
এদিকে চিন ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল বেস অনুযায়ী বিশ্বের প্রথম পাঁচ অস্ত্র সরবরাহকারী দেশের মধ্যে রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স ও জার্মানির পরই চিনের স্থান। এই পাঁচটি দেশ মিলিয়ে সারা বিশ্বের মোট অস্ত্র রপ্তানির ৭৪ শতাংশ করে থাকে। চিনের সবচেয়ে বড় খদ্দের পাকিস্তান ও বাংলাদেশ।
ভারতে সম্ভাবনা থেকেও কার্যকর হয়নি
ভারতেও কম খরচে কার্যকরী অস্ত্র তৈরি হতে পারে। তবে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। ডিআরডিও ও তার ৫০টি গবেষণাগার, পাঁচটি ডিফেন্স পিএসইউ, চারটি শিপইয়ার্ড ও ৪১টি অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি থাকা সত্ত্বেও একেরপর এক সরকার এসেছে গিয়েছে। তাও নিজের দেশে ভারত অস্ত্র তৈরিতে পিছিয়ে রয়েছে।