করোনা ভাইরাস মুক্ত লাক্ষাদ্বীপ! কিন্তু কীভাবে সম্ভব হল
বৃহস্পতিবার সকালে করোনায় আক্রান্তের নিরিখে সারা দেশে সংখ্যাটা ৯ লক্ষ ৭০ হাজারের মতো। এর মধ্যে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৩১ হাজার। করোনা মুক্ত হয়েছেন প্রায় ৬ লক্ষ ১৪ হাজারের মতো মানুষ। কিন্তু এইসব সংখ্যাতত্ত্বের মধ্যেই নেই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চ লাক্ষাদ্বীপ। এখন যা করোনা ভাইরাস মুক্ত।
মৃত্যুর নিরিখে দেশে ষষ্ঠস্থানে! করোনায় আক্রান্ত কিংবা সুস্থ হয়ে ওঠায় মমতার রাজ্যের অবস্থান একনজরে

করোনা মুক্ত লাক্ষাদ্বীপ
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সময় করোনা মুক্ত লাক্ষাদ্বীপ। কেন্দ্রীয় সরকারকে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জানিয়েছে, সেখানকার স্কুলগুলিকে খোলার অনুমতি দেওয়া হোক। ৩৬ টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত লাক্ষাদ্বীপের ১০ টি মানুষের বসতি রয়েছে।

যেসব মন্ত্রে করোনা মুক্ত
লাক্ষাদ্বীপের লোকসংখ্যা ৬৪ হাজারের মতো। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে করোনা মুক্ত করতে বেশ কিছু শক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। যার মধ্যে রয়েছে, স্ট্রিক্ট অ্যাকসেস কন্ট্রোল, দীর্ঘ কোয়ারেন্টাইন পিরিওয়ড, কমপ্রিহেনসিভ সিম্পটোম্যাটিক টেস্টিং। এখনও পর্যন্ত সেখানে ৬১ জনকে পরীক্ষা করপা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের জন্য লাক্ষাদ্বীপকে ভারতের মূল ভূখণ্ডের দিকে চেয়ে থাকতে হয়।

একেবারে শুরুতেই প্রচেষ্টার শুরু
সেখানকার স্বাস্থ্যসচিব জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা একেবারে শুরুতেই। দ্বীপপুঞ্জে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সেই সময়েই পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তা না হলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে অসুবিধায় পড়তে হত বলে জানিয়েছেন তিনি। শুরুতেই দ্বীপপুঞ্জে যাওয়া যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। কোচি বিমানবন্দর থেকে প্রিবোর্ডিং স্ক্রিনিং শুরু করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহাজে এবং ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে বিমানে প্রিবোর্ডিং স্ক্রিনিং শুরু করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব। কেউ লাক্ষাদ্বীপে যেতে চাইলে সাই সময় থেকেই তাঁকে সাতদিনের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হত। অতিরিক্ত হিসেবে যাঁরা আগাত্তি বিমানবন্দরে গিয়েছেন, তাঁদেরকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে।

প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও সাহায্য করেছে
প্রশাসন কোচির ২ হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকাদের খরচও পর্যন্ত বহন করেছে। এককথায় দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বলবত করা হয়েছে। কেই সেখানে প্রবেশের আগে প্রশাসনের নজরদারিতে আসতে হয়েছে।
