ভারতে কি করোনার দ্বিতীয় স্রোত শুরু হচ্ছে, একাধিক পরিসংখ্যান ঘিরে উদ্বেগ
ভারতে কি করোনার দ্বিতীয় স্রোত শুরু হচ্ছে, একাধিক পরিসংখ্যান ঘিরে উদ্বেগ
দেখা যাচ্ছে করোমার নতুন স্ট্রেনের উৎপত্তির কিছু মাস পর থেকেই ভারতে নতুন করে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। এই নিয়ে একাধিক পরিসংখ্যানে ভয়াবহ তথ্য উঠতে শুরু করেছে। মহারাষ্ট্র সহ দেশের একাধিক জায়গায় প্রবলভাবে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
কোন পরিসংখ্যানে আতঙ্ক?
করোনার ৭ দিনের গড়ে দেখা গিয়েছে, তা সারা ভারতে ৬৭ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। প্রথম স্রোতের পর শেষের দিকের এই ৬৭ শতাংশ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়াকে মোটেও ভালোভাবে নিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখে দৈনিক ১০,৯৮৮ জন আক্রান্ত দেখা গিয়েছিল। এদিকে, মার্চের ১১ তে তা ১৮ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কমেছে টেস্টিং?
দেখা যাচ্ছে, গত অক্টোবরের ১০ তারিখ ১,১৯৬,৯৭২ টি নমুনা টেস্ট হয়েছে। আর গত এক সপ্তাহে দৈনিক প্রায় ৭২৫,৬২৬ টি করোনা টেস্টিং হয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট যে টেস্টিং কমেছে।, ভারতে যখন ৫ জায়গায় নির্বাচন তখন রাজনৈতিক সভা , সমিতির মাঝে করোনার আক্রমণের খবর যেমন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে তখন এমন পরিসংখ্যানও আতঙ্কে রাখছে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রের আক্রান্ত ভয়ঙ্কর
গত কয়েকদিনে পাঞ্জাবে দৈনিক আক্রান্ত ৫০৯ শতাংশ বেড়েছে জানুয়ারি -ফেব্রুয়ারির থেকে। যা জাতীয় নিরিখে গড়ের থেকে কয়েকগুণ বেশি। কৃষক আন্দোলনে জেরবার পাঞ্জাবের এই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিঃসন্দেহে উদ্বেগে রাখছে দেশকে। মহারাষ্ট্রের করোনা পিকের পর যে সবচেয়ে কমতির সংখ্যা এসেছিল তা ফেব্রুয়ারিতে। তারপর সংক্রমণ দনিকভাবে ৩৩১ শতাংশ বেড়েছে। এরপরই রয়েছে হরিয়ানা। যেখানেও কষক আন্দোলন একটি বড় দিক। সেখানে করোনা পিকের পর যে সবচেয়ে কমতির পর নতুন কের দৈনিক আক্রান্তের হারে ৩০২ শতাংশ বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে মানুষ।
করোনা পজিটিভের শতাংশ বাড়ছে
প্রসঙ্গত, করোনা পজিটিভের সংখ্যা দেশে ক্রমেই বাড়ছে প্রথম পিকের গ্রাফ নামার পর থেকে। আপাত্ত তা ১.৬ শতাংশ বেড়েছে। যা দুশ্চিন্তায় রাখছে মানুষকে। দেখা যাচ্ছে , অ্যাক্টিভ কেসের যে গতিপথ ঘুরছে , তা ২০ দিন অন্তর ঘুরতে শুরু করছে। যা ফেব্রুয়ারি ১৭ এর ৮০ দিন আগে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা নামতে শুরু করে। তারপর ১৭ ফেব্রুয়ারির পর থেকেই তা বাড়ে।
প্রথম ভার্চুয়াল কোয়াড বৈঠক, ভারতের করোনা টিকা সহ চিনা আগ্রাসন নিয়ে জোরদার আলোচনার সম্ভাবনা