‘এনআরসি-র কারণে দেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না’, রাষ্ট্রপুঞ্জে জানাল ভারত
‘এনআরসি-র কারণে দেশের সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে না’, দাবি ভারতের
এনআরসি ইস্যু নিয়ে দেশের অন্দরে যখন শাসক বিরোধী তরজা অব্যাহত, তখন এই প্রসঙ্গে জাতিপুঞ্জের দাবিকে নস্যাৎ করল ভারত। 'ঘটনার আসল কারণ না জেনে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করা ঠিক না’ বলে জাতিপুঞ্জকে উপদেশ ভারতের।
কিছুদিন আগেই সংখ্যালঘু সমস্যা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ফার্নান্দো দি ভার্নেস দাবি করেন, 'জাতীয় নাগরিক পঞ্জির তালিকা তৈরি নিয়ে অসমে যে সমস্যার সূত্রপাত হয়েছে তা মানবিকতার সংকটকে আরও তরান্বিত করছে।’ যদিও 'সঠিক কারণ’ বিবেচনা না করে 'উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ ভাবেই সংখ্যালঘু প্রসঙ্গের সঙ্গে এনআরসি ইস্যু জুড়ে দেওয়া হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে ভারত।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের তৃতীয় সমিতির অধিবেশনে এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ফার্নান্দো দি ভার্নেসের কড়া সমালোচনা করতে দেখা যায় জাতিসংঘে ভারতীয় মিশনের প্রথম সচিব পৌলমী ত্রিপাঠিকে। এদিনের বৈঠকে তিনি বলেন ’ আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি তৈরির বিষয়টি কোনও ভাবেই সংখ্যালঘু অধিকারের বিষয় নয়। সংখ্যালঘু অধিকারের সাথে এনআরসি ইস্যুকে ভুল ভাবে যুক্ত করায় আমরা আশাহত।’
জাতিসংঘের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, 'ভারতে সংখ্যালঘুরা দেশের সমস্ত সাংবিধানিক স্বাধিকার উপভোগ করেন, যা তাদের মৌলিক অধিকার গুলিকেও সুরক্ষিত করছে।’
যদিও অন্যদিকে এনআরসি ইস্যু নিয়ে ঘরে বাইরে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বর্তমান কেন্দ্র সরকারকে। এনআরসির 'মোকাবিলায়’ ইতিমধ্যেই দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলগুলি একজোট হয়ে লড়াইয়ের ডাকও দিয়েছে। আর এই পটভূমিকায় জাতিসংঘ ও ভারতের এই বাক-যুক্ত দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।
মহারাষ্ট্র নির্বাচন : এন্ট্রিতেই ধামাকা, প্রায় ৭০ হাজার ভোটে জয়ী উদ্ধব পুত্র আদিত্য ঠাকরে