চিনা অ্যাপের পর চিনের কালার টিভি আমদানি নিয়ে মোদী সরকারের বড় পদক্ষেপ! ভারতের 'ইলেকট্রনিক স্ট্রাইক'
ডিজিটাল স্ট্রাইকের পর এবার ইলেকট্রনিক স্ট্রাইক আছড়ে পড়ল চিনে। ভারতের একের পর এক তোপে কার্যত জর্জরিত বেজিং। চিনের অ্যাপ একাধিক দফায় ভারতে নিষিদ্ধ করার পর এবার দিল্লি, চিনের থেকে আমদানিকৃত কালার টিভিতেও বেড়ি পরাতে শুরু করে দিল।
চিনের কালার টিভি ও বিধি নিষেধ
কালার টিভি আমদানির ক্ষেত্রে এবার সরকারি লাইসেন্স প্রয়োজন । ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড একথা জানিয়েছে। ফলে এবার পরোক্ষে চিন থেকে আসা বিপুল পরিমাণ কালার টিভি আমদানির ওপরেও বিধি নিষেধ আরোপ করতে শুরু করল ভারত।
টিভি আমদানি ও টাকার অঙ্ক
উল্লেখ্য, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ৭৮১ মিলিয়ন ডলারের কালার টিভি আমদানি হয়। যার বেশিরভাগটাই চিন ও ভিয়েৎনাম থেকে আসে। সেই জায়গা থেকে এবার চিনের টিভি ব্যবসার রমরমা ভারতে কার্যত আটকে দিতে শুরু করল দিল্লি। উল্লেখ্য, ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট টিভির ক্ষেত্রে অবশ্য আমদানি বিষয়ক কোনও বিধি নিষেধ নেই।
দেশের টিভি সেট ইন্ডাস্ট্রি
ভারতে প্রায় ৩৫ শতাংশ টিভি সেট বাইরে থেকে আমদানি করা হয়। বেশিরভাগটাই চিন, থাইল্যান্ড, ভয়েৎনাম, মালয়েশিয়া থেকে আসে। ২০০০ থেকে ২০০১ সালে টিভি সেট আমদানি সহ ১৪২৯ টি আইটেমের ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছিল ভারত সরকার। এবার সেই ছাড়ের পরিমাণই কমাতে শুরু করেছে দিল্লি।
টিভি আমদানি বিধি নিষেধের আরও কারণ
মূলত 'আত্মনির্ভর ভারত' প্রকল্পের হাত ধরে দিল্লি চাইছে দেশের মাটিতে আরও বেশি করে সস্তার কালার টিভি নির্মাণ করতে। এর আগে চিন থেকে কম দামি টায়ার আনার ওপরেও বহু বিধি নিষেধ জারি করেছে ভারত। যার জেরে ভারতের মাটিতে বেশি করে এই সমস্ত জিনিসের উৎপাদনকেই উৎসাহ দিতে চেয়েছে দিল্লি।
দিল্লির এই পদক্ষেপে কাদের ক্ষতি?
তবে
মনে
করা
হচ্ছে,
যে
সমস্ত
ভারতীয়
ব্র্যান্ড
যারা
চিন
থেকে
সরাসরি
কালার
টিভি
আমদানি
করে
তা
বিক্রি
করে
,
তাদের
ক্ষেত্রে
সমস্যার
পরিমাণ
বেড়েছে।
প্রসঙ্গত
,
সরকার
এবার
থেকে
দেশের
মাটিতে
নির্মিত
পণ্যের
ওপর
বেশি
জোর
দিতেই
মন
পদক্ষেপ
নিচ্ছে
বলে
খবর।