১০ জনপথে সোনিয়া-মমতা বৈঠক, বিরোধী রাজনীতি থেকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নির্বাচন, যা উঠে এল আলোচনায়
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আলোচনা শুরু করে দিলেন সোনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ঠিক কতটা গভীরে আলোচনা হয়েছে তা বেরিয়ে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথম পর্যায়ে সৌজন্য সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আলোচনা শুরু করে দিলেন সোনিয়া গান্ধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস ও তৃণমূল দুটি দলই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে। ফলে এদিন নয়াদিল্লিতে দুই দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
দুজনেই দলের সর্বোচ্চ পদ সামলাচ্ছেন। দুজনেই জাঁদরেল নেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন রাজ্য রাজনীতির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও বহুদিন সক্রিয় থেকেছেন তেমনই সোনিয়া গান্ধীও কেন্দ্রীয় রাজনীতির বৃত্তে ঘুরপাক খেয়েছেন। এহেন দুই জাতীয় দলের সর্বোচ্চ নেত্রী ফের একবার সোমবার সামনাসামনি হলেন নয়াদিল্লিতে বৈঠকে।
দশ জনপথ রোডে সোনিয়ার বাসভবনে এদিন কংগ্রেস সভানেত্রীর আমন্ত্রণে হাজির হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপলক্ষ্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তবে এর পিছনে আর একটি সূক্ষ্ম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও রয়েছে। তা হল কেন্দ্রের বিজেপি তথা এনডিএ বিরোধী জোটের ঐক্যকে মজবুত করা।
তবে আপাতত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা করছেন সোনিয়া। সেই সূত্রেই মমতার সঙ্গে বৈঠক। এনডিএ-র পছন্দ করা প্রার্থীর বিরুদ্ধে যোগ্য প্রার্থী দাঁড় করানোটাই সোনিয়ার প্রাথমিক চ্যালেঞ্জ। তারপর রয়েছে ভোটাভুটির প্রশ্ন।
এদিন অবশ্য ঠিক কতটা গভীরে আলোচনা হয়েছে তা বেরিয়ে এসে সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু জানালেন খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। আলোচনা ছিল আদ্যন্ত রাজনৈতিক। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল সোনিয়ার সঙ্গে রাহুল গান্ধীও এদিন মমতার সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর পাশাপাশি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়নি। এরপরে অন্য দলগুলির সঙ্গে ফের আলোচনা হবে। তারপর ফের একবার আগামী সপ্তাহে সোনিয়া-মমতা আর একপ্রস্থ বৈঠক হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। মমতা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হবে সর্বসম্মত। অর্থাৎ পরবর্তী সপ্তাহের বৈঠকের আগে আর কিছু সূত্র উঠে আসে কিনা সেটাই এখন দেখার।
{promotion-urls}