অন্য দেশের তুলনায় ভারতে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যু হচ্ছে ০.২ জনের, জানালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক
অন্য দেশের তুলনায় ভারতে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় মৃত্যু হচ্ছে ০.২ জনের, জানালো স্বাস্থ্য মন্ত্রক
বিশ্বব্যাপী ৪.১–এর তুলনায় ভারতে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় কোভিড–১৯–এ মৃত্যু হচ্ছে ০.২ জনের, জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মঙ্গলবার করোনা ভাইরাসের মৃত্যু হয়েছে ৩,১৬৩ জনের এবং মোট করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ১,০১,১৩৯ জন।
দেশের পরিসংখ্যান অনেক কম
সোমবার দেশে রেকর্ড সংখ্যা ১,০৮,২৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ২৪,২৫,৭৪২ জনের টেস্ট করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। হু পরিস্থিতি রিপোর্ট-১১৯ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বিশ্বজুড়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩,১১,৮৪৭ জনের অর্থাৎ প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় ৪.১ জন করে কোভিডে মারা যাচ্ছে। কোভিড-১৯-এ মৃত্যু বেশি এমন দেশগুলির মধ্যে আমেরিকায় মৃত্যু হয়েছে ৮৭,১৮০, যা প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় ২৬.৬ মৃত্যু। ব্রিটেনে মৃত্যু সংখ্যা ৩৪,৬৩৬ এবং প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় ৫২.১ জন করে কোভিডে মারা যাচ্ছে।
অন্যান্য দেশে মৃত্যুর পরিসংখ্যান বেশি
ইতালিতে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা ৩১,৯০৮ জন, অর্থাৎ প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় মারা যাচ্ছে ৫২.৮, ফ্রান্সেও মৃত্যু সংখ্যা ২৮,০৫৯, মানে ৪১.৯ জনের মৃত্যু হচ্ছে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায়, স্পেনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭,৬৫০ জনের, ৫৯.২ জনের মৃত্যু প্রতি লক্ষে। জার্মানি, ইরান, কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও মেক্সিকোতে মৃত্যু ৭,৯৩৫, ৬,৯৮৮, ৫,৭০২, ৫,৬৮০ ও ৫,০৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসে, অর্থাৎ প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় ৯.৬, ৮.৫, ১৫.৪, ৩৩.০ ও ৪.০ মৃত্যু হয়েছে।
কম মৃত্যুর পরিসংখ্যান ভারতে
কোভিড-১৯-এ চিনে মৃত্যু সংখ্যা ৪,৬৪৫ জন, এর অর্থ হল প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় চিনে ০.৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অপেক্ষাকৃত কম মৃত্যুর পরিসংখ্যান সময়মতো কেস সনাক্তকরণ এবং কেসগুলির ক্লিনিকাল পরিচালনা উপস্থাপন করে।' টেস্টিং প্রসঙ্গে মন্ত্রক জানিয়েছে যে জানুয়ারিতে মাত্র একটি ল্যাবে কোভিড-১৯-এর টেস্ট হতো, ভারত খুব দ্রুততার সঙ্গে টেস্টিং ল্যাব বাড়িয়েছে। এখন সরকারি ৩৮৫টি ও বেসরকারি ১৮৫টি ল্যাবে কোভিড-১৯-এর টেস্টিং হয়। মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারী ল্যাব, দেশের মেডিকেল কলেজ, বেসরকারী মেডিকেল কলেজ এবং বেসরকারী খাতের সঙ্গে যথাযথ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে দেশে টেস্টিংয়ের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।' অন্য টেস্টিং মেশিন ট্রুনাট ও সিবিনাটও কোভিড-১৯ টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভারত করোনা রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে
মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ১৪টি এইমসের মতো পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠা দেশের ল্যাবগুলির হাত ধরে রয়েছে এবং সেখানকার বায়ো-সুরক্ষা নিশ্চিত করে পরীক্ষাগারগুলিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। ল্যাবগুলিতে পরীক্ষামূলক উপাদানের অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে, তার বিতরণের জন্য ইন্ডিয়া পোস্ট এবং বেসরকারী এজেন্সিগুলিতে ১৫ টি ভান্ডার তৈরি করা হয়েছে। বহু ভারতীয় সংস্থা প্রাথমিকভাবে বিদেশ থেকে টেস্টিংয়ের জিনিসপত্র নিয়ে আসছে সরকারের সহায়তায়। মন্ত্রকের মতে, ‘এটি সারা দেশে অবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখতে সহায়তা করেছে'।
বিজেপিতে ভাঙন ধরিয়ে তৃণমূলে যোগদান, মহামারীর মধ্যে দলবদল মন্ত্রীর হাত ধরে