যুদ্ধ, শান্তি না বয়কট! লাদাখে চিনের নৃশংসতার বদলে কী চাইছেন ভারতীয়রা? উঠে এল ওয়ানইন্ডিয়ার সমীক্ষায়
যুদ্ধ, শান্তি না বয়কট! লাদাখে চিনের নৃশংসতার বদলে কী চাইছেন ভারতীয়রা? উঠে এল ওয়ানইন্ডিয়ার সমীক্ষায়
বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ভারত-চিন সীমান্ত সমস্যা। সেখানে চরম উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে দিন কাটাচ্ছেন ভারতীয় সেনার কর্মীরা। এই পরিস্থিতি আরও চরমে ওঠে গত সপ্তাহের সোমবার। সেদিন সন্ধ্যা বেলাতে ২০ জন ভারতীয় সেনা কর্মী শহিদ হন দেশের সম্মান রক্ষার্থে। পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। অবশ্য তা সত্ত্বেও ভারতীয় জনগণ ফুঁসছে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে। এই নিয়েই ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলার পাঠকদের আমরা জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে তাঁদের মতে এই পরিস্থিতিতে ভারতের কী করা উচিত। সেই মর্মেই চিনকে শায়েস্তা করার বিভিন্ন নিদান দিয়েছেন আমাদের পাঠকরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক যে কে কী বললেন...
চিনে সার্জিকাল স্ট্রাইক চান অনেকে
ফেসবুকে আমাদের পাঠক অমিত মুখোপাধ্যায় আবেদন জানান যে পাকিস্তানের মতো চিনের উপরও সার্জিকাল স্ট্রাইক চালাক ভারত। তিনি সরাসরি বেজিংয়ে এই স্ট্রাইক চালানোর পক্ষে প্রশ্ন তোলেন। এদিকে এসজি সাহা লিখছেন, 'এবার হয় এশপার নয় ওসপার। জয় জওয়ান।'
দেশের শিক্ষা সমৃদ্ধ দেওয়ার ডাক
নম্রতা ঘোষ লিখছেন, 'দেশের সন্তানদের প্রকৃত শিক্ষিত করতে হবে যাতে তারা কারিগরি, সামরিক, ভোগ্য সর্বপ্রকার জিনিস আবিষ্কার ও উৎপাদন করার মত যোগ্যতা অর্জন করে। বাংলার যা শিক্ষার হাল তৃণমূল করে চলেছে ,তাতে করে আসু বিপ্লবী ক পরিবর্তন না হলে, চীনের প্রতি যাবতীয় উষ্মা মৌখিক বাতেলা হয়েই থেকে যাবে।' এদিকে রাধাকান্ত পারিয়া এক শব্দে চিন বিরুদ্ধ নিদান দিয়েছেন। 'বয়কট'।
চিনের দাদাগিরি রোখার জন্য কড়া পদক্ষেপের ডাক
এই বিষয়ে প্রদীপ চক্রবর্তী লেখেন, 'চিনের দাদাগিরি আর সহ্য করা হবে না। শহিদদের সম্মান জানিয়ে ১৯৬২ তে ভারতের দখল করা জায়গা ফেরত দিক ও তিব্বত কে স্বাধীন করুক। যুদ্ধ করুক , এটা না করলে চিন আবার সুযোগ নেবে। অন্য জায়গা দখল করার চেষ্টা করবে, সেই সময় যদি কমিউনিস্ট সমর্থনে কংগ্রেসের দালাল সরকার থাকে তো সিকিম , অরুণাচল দাবি করবে ও জোর করে দখল করবে।'
বাণিজ্যিক ভাবে চিনকে পঙ্গু করার ডাক
রানাঘাটের ব্যবসায়ী বাবু সরকার এই প্রসঙ্গে লিখচেন, 'রানাঘাট এর মতো একটা ছোটা পাইকারী বাজার যেখানে গড়ে এক কোটি টাকা চীন পন্য প্রতি দিন ব্যাবসা হয়ে থাকে। চীনা পন্য আমদানি বন্ধ হওয়া উচিত।' এদিকে বিসিসিআই-এর সঙ্গে চিনা সংস্থার চুক্তি বাতিলের ডাক দিয়ে সন্দীপ ঘোষ লিখছেন, 'চিনা কোম্পানি VIVO, IPL এর স্পনসার। অনুরাগ- জয়শাহ-গাঙ্গুলি দেশের স্বার্থে চুক্তি শেষ করতে সাহস দেখাতে পারব।'
প্রয়োজনে সাধারণ মানুষ লড়াই করতে প্রস্তুত
এই বিষয়ে বিশ্বজিত মান্না লেখেন, 'আমরা আছি আমাদের সেনা ভাই দের সঙ্গে প্রয়জন পড়লে যেতে রাজি লাদাখ। জয় হিন্দ।' একই ভাবে কেএস কমল লেখেন, 'চিন ১৯৬২-তে যে সীমানা দখল করেছিল সেটা পুনুরুদ্ধার করতে হবে।' তুষার জানাচ্ছেন যে প্রয়োজনে বন্দুক ধরতেও রাজি আছেন তিনি। এদিকে সুভাষ লিখছেন, 'এক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সকল যুবক কে যুদ্ধ ও অস্ত্র চালানো প্রশিক্ষণ দেওয়া হোক তারাও যেন দেশকে রক্ষায় এ গিয়ে আসতে পারে।'
চিনের সমালোচনায় সরব আমাদের পাঠকরা
এই বিষয়ে ঝিনুক কুণ্ডু লিখছেন, 'চিনের কাপুরুষোচিত আক্রমণের তীব্র প্রতিবাদ জানাই, চিনকে রাষ্ট্রের কড়া জবাব দেওয়ার দাবি জানালাম।' অনির্বাণ মাইতি বলেন, 'আমি এখনো পর্যন্ত কোনো চিনা বস্তু ব্যবহার করিনি, আমি ও আমার পরিবার ভবিষ্যতেও করবো না।
এদিকে এই জটিল পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত পাঠকরা
এই বিষয়ে অভিনব চৌধুরী লেখেন, 'চিনের পণ্য বর্জন করা এই মুহূর্তে হয়ত সম্ভব হবে না ভারতের পক্ষে। তবে ধীরে ধীরে চিনের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে হবে দেশকে। কেন্দ্র ও সেনা যেভাবে কঠোর ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে তা খুবই প্রশংসনীয়। তবে প্যাংগং সো লেকের বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধানণা নেই দেশে। ভারতের উচিৎ, পাকিস্তানকে যেভাবে কড়া জবাব দেওয়া হয়, চিনের পক্ষেও তা করা হোক। পরমাণু অস্ত্র ভাণ্ডারের দিক দিয়ে চিন এগিয়ে আছে বলে আমাদের পিছিয়ে থাকা উচিত নয়। কারণ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে বিশ্ব রাজনীতিতে অনেক প্রভাব পড়বে, এবং তা চিন জানে। তবে তাদের দাদাগিরি রুখতে হবে। এবং তা করতে ভারত সমর্থ।'
চিনা পণ্য বয়কটের ডাক
জয় দাস এই নিদান দিয়ে লেখেন, 'সময় এসেছে দেরি না করে চিনা পণ্য বর্জনের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলেছেন, সেই পথে হাঁটার সময় এসেছে। চিনকে গোলাগুলি দিয়ে নয় বুদ্ধি ও বাণিজ্য কৌশল দিয়ে একঘরে করতে হবে। ভারতের জয় হোক।'
ভারতীয় সেনার পাশে থাকার বার্তা
সুভদীপ মিত্র লিখছেন, 'ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং ভারত সরকারের সাথে সবসময় আছি। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সাথে কাজ করতেও আমি প্রস্তুত। দেশের অখন্ডতা এবং সমপ্রভুতা রক্ষা করতে প্রান পর্যন্ত পিছপা হবো না।' একই সুরে বিশ্বজিত দোলাই লেখেন, 'আমি আমার দেশের বীর সেনাদের কাছে আছি আর শেষ নিশ্বাস অবধি থাকবো। যদি যুদ্ধ হয় তবে আমি আমাদের বীরসেনাদের সাহায্য কারার জন্য যেকোনও কাজে প্রস্তুত। আমি পেশায় শিক্ষক আমি চাই যুদ্ধ বাঁধলে আমার পুরো বেতনের টাকা সেনাকে দিয়ে সাহায্য করতে চাই।'
চিনকে রণাঙ্গনে দুরমুশ করতে লাদাখে ভারতের নয়া চাল! ইজরায়েলের ড্রোন নিয়ে সেনা এগোচ্ছে কোন ছকে