রাতের অন্ধকারে ভারতের সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা, প্রবল চাপে পাকিস্তান
মধ্যবর্তী পরিসীমায় হামলা চালাতে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র অগ্নি-২ এর সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত। শনিবার রাতে ওড়িশা উপকূলের অদূরে অবস্থিত আবদুল কালাম দ্বীপের স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডে এই পরীক্ষাটি চালানো হয় বলে সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের তৈরি করা এই মিসাইলটি ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
অগ্নি-২
অগ্নি-২ মিসাইলটি ২০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে হানা দিতে সক্ষম বলে জানিয়েছে সেনা। ২০ মিটার লম্বা এই মিসাইলটির ওজন ১৭ টন। এটি ১০০০ কিলোগ্রাম ওজনের পেলোড নিতে সক্ষম। এর আগে ২০১৮ সালে অগ্নি মিসাইলের অন্য একটি সংস্করণের সফল উৎক্ষেপণ করেছিল ভারত।
কে-৪ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ
অগ্নি- ২ ছাড়াও ভারত চলতি মাসে আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। কে-৪ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ চালানো হয় ৮ নভেম্বরে। বিশাখাপট্টনমের ভারতীয় নৌসেনার বেস থেকে সেই পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। ভারতী সাবমেরিন আইএনএস অরিহান্ত থেকে এর সফল উৎক্ষেপণ করা হয়।
আরও দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা
এগুলি ছাড়াও ভারত চলতি মাসে আরও দুটি মিসাইলের উৎক্ষেপণের পরীক্ষা চালাবে। সেগুলি হল, সুপারসোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মোস ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পৃথ্বী। পৃথ্বী-র পরীক্ষা চালানো হবে ওড়িশার চাঁদিপুরেই। এদিকে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রটি দুটি স্তরে পরীক্ষণ হবে। স্থল থেকে পরীক্ষার পাশাপাশি শূন্যে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করে হবে এক ফাইটার জেট থেকে। এই নিয়ে ব্রহ্মোসের এই বছর এটি সপ্তম পরীক্ষা। নতুন প্রযক্তির সংযোগের ফলে এই পরীক্ষা বলে জানা গিয়েছে।
অগাস্টেও হয়েছিল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা
এর আগে চলতি বছরের অগাস্টে ভূমি থেকে আকাশে তাৎক্ষণিক আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইলের সফল পরীক্ষা করে ভারত। চাঁদিপুরের ইন্টেগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জে ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী চলমান ট্রাকের লঞ্চ ইউনিট থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা।
পরীক্ষার জেরে চাপে পাকিস্তান
সূত্রের খবর, পরীক্ষা করা এবং হতে চলা চারটে ক্ষেপণাস্ত্রই পাকিস্তানের বড় শহরগুলিতে আক্রমণ চালাতে পারবে। একবারে উড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে বলা যায়। প্রসঙ্গত কয়েক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানের তরফে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ভূপৃষ্ঠ পর্যন্ত হামলা চালাতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্রের। গজনাভি নামক সেই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পাল্টা ভারতের এই পরীক্ষা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।