পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি, ২৬/১১-র সন্ত্রাসী হামলার বিচার ত্বরান্বিত করার আর্জি ভারতের
পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি, ২৬/১১-র সন্ত্রাসী হামলার বিচার ত্বরান্বিত করার আর্জি ভারতের
মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার বিচার ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানাল ভারত। শুক্রবার ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকীতে বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানকে এই হামলার বিচার ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ডাবল স্ট্যান্ডার্ট ছাড়ুন। বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করুন। এদিন মু্ম্বই হামলায় নিহত ও শহিদদের পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়ার সর্বাত্মক প্রচেষ্টার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিচারমন্ত্রক।
পাকিস্তানের হাইকমিশনের একজন সিনিয়র কূটনীতিককে তলব করেছিল ভারত। তাঁকে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য অনুরোধ করা হয়। বিদেশমন্ত্রক জানায়, "এটি গভীর বেদনার বিষয় যে ২৬/১১ মুম্বই হামলার ১৩ বছর পরেও ১৬৬ জন নিহতের পরিবার এখনও ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় রয়েছে।
মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে বলেছে, কূটনীতিকের কাছে হস্তান্তর করা একটি নোট দেওয়া ছাড়া মৌখিকভাবে বিদেশমন্ত্রক পাকিস্তানকে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলিতে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত না দেওয়ার আর্জি জানায়। পাকিস্তানকে উদ্দেশ্য করে ভারত জানিয়েছে, ওই এলাকায় সন্ত্রাসবাদের অনুমতি না দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যেন মেনে চলে পাকিস্তান। তাহলে দুদেশের ভালো হবে।
ভারতের বিদেশমন্ত্রক ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে পাকিস্তান সামান্য হলেও আন্তরিকতা দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে। এক বিবৃতিতে ভারতের বিদেশমন্ত্রক বলেছে, ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সম্পাদিত হয়েছিল এবং শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের ভূখণ্ড থেকে।"
অভিশপ্ত ২৬/১১-র ক্ষত ১৩ বছর ধরে বইছে ভারত
বিদেশমন্ত্রক জানায়, "আমরা আবারও পাকিস্তান সরকারকে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড পরিত্যাগ করার জন্য এবং ভয়ঙ্কর হামলার অপরাধীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি। এটা শুধু সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নিরীহ নিহতদের পরিবারের প্রতি পাকিস্তানের জবাবদিহির বিষয় নয়, এটি একটি আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাও বটে।
উল্লেখ্য, ১৩ বছর আগে ২৬ নভেম্বর ১০ জন এলইটি জঙ্গি দেশের বাণিজ্যিক তথা অর্থনৈতিক রাজধানীতে ঝড় তুলেছিল এবং ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, তাজমহল প্যালেস হোটেল, হোটেল ট্রাইডেন্ট, নরিমান হাউস এবং লিওপোল্ড ক্যাফে-সহ সবচেয়ে জনাকীর্ণ স্থানগুলির কয়েকটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। তিন দিনের এই ধারাবাহিক হামলায় ১৬৬ জন নিহত হন।
হামলায় জড়িত দশ সন্ত্রাসীর মধ্যে নয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হয়। একমাত্র জীবিত হামলাকারী আজমল কাসভকে গ্রেফতার করা হয় এবং পরে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। হামলায় ভারতসহ ১৪টি দেশ তাদের নাগরিকদের হারিয়েছিল। এই দেশগুলিতে ভারতীয় মিশনগুলি দেশীয় এবং বিদেশী উভয়ই নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিশ্বকে সন্ত্রাসবাদের হুমকির কথা মনে করিয়ে দেয়।