ভারতে কর্মরত ৩ চিনা সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে কেন্দ্র
নয়াদিল্লি, ২৪ জুলাই : চিনে যাতে কোনও গোপন তথ্য পাচার না হয়, তা নিয়ে আগাম সতর্ক হতেই চিনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার তিন সাংবাদিককে দেশে ফিরে যেতে বলল মোদী সরকার। প্রসঙ্গত এনএসজিতে ভারতের সদস্যপদের বিরোধিতা করা, দক্ষিণ চিন সাগরে ভারত চলাচলে আপত্তির মতো বেশ কিছু গুরুতিবপূর্ণ বিষয় নিয়ে কিছুদিন ধরেই চীনের সঙ্গে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল ভারতের। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাতেই ঘি ঢালল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।['চিনের প্রাচীরে ধাক্কা', এনএসজিতে ঢোকার রাস্তা আপাতত বন্ধ ভারতের ]
যে তিন সাংবাদিককে চলে যেতে বলা হয়েছে, তাদের মধ্যে ২ জন দিল্লি ও মুম্বইয়ের বরিষ্ঠ সাংবাদিক অন্যজন মুম্বই অফিসের কর্মী। এই সাংবাদিকদের ভিসার মেয়াদ চলতি বছরের গোড়াতেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ভারত সরকার তাদের ভিসার মেয়ার শীঘ্রই বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু গত ১৪ জুলাই তাদের জানানো হয় ভিসার মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। তাই তাদের দেশে ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয়। এই মাসের শেষে অর্থাৎ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যেই তাদের দেশে ফিরে যেতে হবে। [দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে এত লড়াই কেন? কী এর প্রেক্ষাপট, জেনে নিন]
যদিও সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই তিন সাংবাদিকের মধ্যে উ কিয়াং , তাং লু এবং মা কিয়াং এই তিনজনের উপর গোয়েন্দারা নজর রাখছিল। মূলত অফিসের কাজের বাইরে অন্য কি কি কাজ তারা করত তার উপরই নজর রাখা হচ্ছিল। [ঋণ নিলে বন্ধক রাখতে হবে আপনার নগ্ন ছবি! দাবি চীনের অনলাইন সংস্থার]
চিনের তিনটি সরকার ইংরাজি সংবাদ মাধ্যমে বেশ কিছু ভারতীয় এই মুহূর্তে কাজ করছেন। এছাড়া ২ জন চিন সরকারের ফেলোশিপে সে দেশে কাজ করছেন। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রভাব তাদের কাজের উপর পড়তে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই। এখনও পর্যন্ত চিন থেকে ভারতীয় কোনও সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠানোর মতো ঘটনা না ঘটলেও সরকারি নীতির সমালোচনা করায় ফরাসি সাংবাদিককে কিছু দিন আগে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে চিন। [ভারতকে কূটনৈতিক চাপ : এই প্রথম পাক অধীকৃত কাশ্মীরে যৌথ টহল চিন ও পাকিস্তান সেনার]
ভারতের এনএসজি-র সদস্যপদ নিয়ে আপাতত আলোচনা চলছে। এনএসজির সদস্যপদের জন্য চিনের অনুমোদন এইমূহূর্তে ভারতের প্রয়োজন। তার আগেই কেন্দ্রের এহেন সিদ্ধান্ত ভারত-চিনের সম্পর্কের শীতলতাকে বাড়াবে তো বটেই এনএসজি-র সদস্যপদ অনুমোদনেও এর প্রভাব পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে। এক্ষেত্রে সরকারের আর একটু ভাবনাচিন্তা করে ভবিষ্যতের কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত ছিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।