তেলেভাজা আর চায়ের ভাঁড়েই জমত তর্ক, জানেন কি দেশনায়ক নেতাজির পছন্দের খাবার কি ছিল?
স্বাধীনতা সংগ্রমের যুদ্ধে বঙ্গের নায়কদের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের খাদ্যপ্রীতিও। দেশের জন্য তাঁদের প্রাণ দেওয়া। তাঁদের আত্মবলিদান থেকে শুরু করে তাঁদের সংগ্রামের কথা সকলেই জানেন। কিন্তু কেউ কি জানেন তাঁদের আর পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতই ছিল তাঁদের পছন্দ। খানাপিনা, আদব-কায়দা। ধুতি পাঞ্জাবি পরা নেতাজি থেকে স্যুটবুট পরা আজাদ হিন্দ ফৌজের নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কিন্তু ছিলেন একেবারে আম বাঙালি। মুড়ি- তেলেভাজা আর চােয়র কাপে তর্ক করতে ভালবাসতেন তিনি।
ব্রিটিশ শাসকদের কাঁদিয়ে ছেড়েছিলেন সুভাষ
বাঙালির
সঙ্গে
স্বাধীনতা
সংগ্রামের
সঙ্গে
যোগাযোগ
নিয়ে
আলাদা
করে
কিছু
বলার
নেই।
কিন্তু
এমন
অনেক
অজানা
তথ্য
রয়েছে
তাঁদের
সম্পর্কে
অনেকেই
হয়তো
জানেন
না।
বিশেষ
করে
সেটা
যদি
সুভাষ
চন্দ্র
বসুকে
িনয়ে
হয়।
কারণ
স্বাধীনতা
যুদ্ধে
তাঁর
ভূমিকা
তো
সকলের
জানা
কিন্তু
তাঁর
জীবন
রহস্যে
মোড়া।
েনতাজির
অন্তর্ধান
রহস্য
এখনো
কেউ
প্রকাশ
করতে
পারেনি।
স্বাধীনতা
সংগ্রামের
শুরু
থেকেই
তাঁর
গতিবিধি
রহস্যে
মোড়া।
ব্রিটিশ
শাসকদের
একেবারে
নাকে
দড়ি
দিয়ে
ঘুরিয়েছেন
সুভাষ।
কী খেতে ভালবাসতেন
তাঁর চেহারায় সাহেবি আদম কায়দার ঝলক মিেল। আজাদ হিন্দ ফৌজ তৈরি করে ব্রিটিশ শাসকদের নাকে দড়ি দিয়ে ঘুরিয়েছিলেন তিনি। সেই সুভাষ কিন্তু আদ্যপান্ত বাঙালি মেজাজের ছিলেন। পাড়ার তেলেভাজার দোকানে চপ মুড়ি, বেগুিন, পেঁয়াজি খেতে খেতেই জমে উঠত তাঁর তর্ক। শোনা যায় কলকাতা শহরের যে তেলেভাজার দোকানে বসে চপ মুডি খেতে খেতে পাড়ার সহযোদ্ধাদের সঙ্গে তর্কে মশগুল হতেন সুভাষ সেই দোকানটি প্রতিবছর নাকি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিন বড় করে উদযাপন করে থাকে। ১৯১৮ সালে তৈরি হয়েছিল সেই লক্ষ্মী নারায়ণ শ অ্যান্ড সন্স। সেই দোকােনর তেলেভাজা খেতে পছন্দ করতেন সুভাষ। নেতাজির জন্মদিেনর দিন ফ্রিতে তেলেভাজা বিলি করে থাকে এই দোকানটি।
ব্রিটিশ বন্দি দশায় কী খেতেন সুভাষ
বাঙালি ছেলে হলেও ব্রিটিশরা যখন তাঁকে বন্দি করে রেখেছিল তখন একেবারে ব্রিটিশ ব্রেকফাস্ট দেয়া হত তাঁকে।ঘরবন্দি করেও রাখা হয়েছিল সুভাষকে। দার্জিলিঙের একটি বাংলোয় রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখােন একেবারে ব্রিটিশ ব্রেকফাস্ট খেতে তিিন। ব্রেড, পুডিং এই সবই দেয়া হত তাঁকে। েনতাজির এই খাবার খাওয়ার মধ্যে ছিল অন্য পরিকল্পনা। পাউরুটি মধ্যে করে তথ্য এবং খবরাখবর পাচার করতেন তিনি। বাইরে থাকা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতেন পাউরুটির ভেতরে চিঠি লুকিয়ে। ৬ মাস দার্জিলিঙের সেই বাংলোয় নজরবন্দি করে রাখা হয়েছিল তাঁকে।
স্বাধীনতা সংগ্রামের ৭৫ বছর
স্বাধীনতা সংগ্রামের ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে গোটা দেশ। আজ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মোদী সরকারের তেরঙ্গা যাত্রা। ঘর ঘর তেরঙ্গা কর্মসূচির ডাক দিয়েছে মোদী সরকার। দেশে সব বাড়িতে চোদ্দ এবং পনেরো তারিখ তেরঙ্গা ওড়ানোর কথা বলা হয়েছে। সেই মত গোটা দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে তেরঙ্গা যাত্রা। রাজ্য গুলিকে এই কর্মসূচির প্রচারের উপরে জোর দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে।