রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ব্রিটিশ মুক্ত হয় ভারত! কিন্তু ১৯৪৭ সালে ১৫ই অগাস্ট গান্ধীজি কেন কলকাতায় ছিলেন
১৯৪৭ সালে ১৫ই অগাস্ট গান্ধীজির কলকাতা আগমণের কারণ কি
৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাকলগ্নে দাঁড়িয়ে ভারত। করোনা আবহেই ভারতের রক্তক্ষয়ী স্বাধনীতা আন্দোলনের স্মৃতিচিহ্ন বুকে এঁকে ফের উদ্বেল হতে চলেছে প্রতিটা ভারতবাসীর মন। নীল আকাশের বুক চিড়ে আবারও মাথা উুঁচু করে দাঁড়াতে চলেছে তেরঙা পতাকা। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পিছনে জাতীর জনক মহাত্মা গান্ধীর অবদানের কথা আমরা কমবেশি সকলেই জানি। অসহযোগ আন্দোলন, ভারত ছাড়ো আন্দোলনের মধ্যে দেশজোড়া একাধিক ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে কোণঠাসা করছিলেন ব্রিটিশদের।
স্বাধীনতার আবহে উৎসব মুখর দিল্লির বদলে কলকাতাকেই বেছে ছিলেন গান্ধীজি
কংগ্রেসের হাত ধরে এগিয়েছিলেন অহিংস পথে। কিন্তু যেদিন পাকাপাকি ভাবে ব্রিটিশ শাসনের হাত থেকে মুক্তি পেতে চলেছে ভারত, হতে চলেছে পাকাপাকি ক্ষমতা হস্তান্তর সেদিন দিল্লির বদলে কলকাতাতেই ছিলেন গান্ধীজি। ইতিহাসবিদদের মতে বহু কাঙ্খিত স্বাধীনতা এলেও তার সূত্রপাত মাউন্টব্যাটনের দেশভাগের পরিকল্পনার হাত ধরেই।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাক্ষী থেকেছিল গোটা বাংলা
সহজ করে বললে ১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্ট ভারতের স্বাধীনতা মিলেছিল বাঙালির দেশভাগের যন্ত্রণার বিনিময়ে। তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি পৃথক রাষ্ট্র। দেশের অনেকাংশ মানুষ যখন শুধুই স্বাধীনতার স্বাদ অনুভব করছে তখন বাঙালির কাছে তা বিস্বাদ হয়ে নয়া সীমান্তপারে কাঁটা তারের বেড়াজালের কারণে। স্বাধীনতার সেই পুণ্যলগ্নে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সাক্ষী থেকেছিল গোটা বাংলা।
১৫ই পুণ্যলগ্নে দেশভাগের আগুনে তখন জ্বলছে নোয়াখালি, কলকাতায়
১৯৪৭ সালের ১৫ই অগাস্টের দিন স্বাধীনতার মূহূর্তে দেশের আর পাঁচজন নেতার মতো সেদিন দিল্লিতে উৎসবে মাতেননি মহাত্মা গান্ধী। বরং ক্ষমতা হস্তান্তরের মুহূর্তে গান্ধীজি একাকি রইলেন দিল্লি থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে এই কলকাতাতেই। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগের আগুনে তখন জ্বলছে নোয়াখালি, কলকাতা।
দাঙ্গা ঠেকাতে উপবাসও করেন গান্ধীজি
সেই সময় আগামী কয়েক দিনের জন্য গান্ধীজির নতুন ঠিকানা হয়ে উঠেছিল বেলেঘাটার হায়দরী মঞ্জিলে। এই হায়দরি মঞ্জিল পরে পরিচিত হয় বেলেঘাটার ‘গান্ধীভবন' বলে। মানুষকে বোঝাতে, দাঙ্গা ঠেকাতে কিছু কাছের মানুষ নিয়ে তিনি সেইসময় বেলেঘাটায় দাঙ্গাক্রান্ত এলাকা নিজ পায়ে হেঁটে ঘুরেও দেখেন। এমনকী নোয়াখালিতে হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা রোধে উপবাসও করেন তিনি।
৭৪তম স্বাধীনতা দিবস! স্মৃতির পাতায় ভারতের রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা সংগ্রামের ভুলতে বসা বীর বিপ্লবীরা