চাপে কেন্দ্র! দেশজোড়া আন্দোলনের মাঝেই ‘সর্বনাশা’ কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ কেরলে
কানাঘুঁষো শোনা যাচ্ছিল বিগত কয়েকদিন ধরেই। অপেক্ষা ছিল শুধুই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের। অবেশেষে সেই রাস্তায় হাঁটল কেরলের বাম সরকার। বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল নয়া কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব। এদিকে এর আগে এই রাস্তায় প্রথম হাঁটতে দেখা যায় পাঞ্জাবকে। এবার সেই একই পথে হাঁটতে দেখা গেল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নকে।

সমর্থন বিরোধী কংগ্রেসেরও
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কেরল বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সর্বসম্মত ভাবে পাশ হয়েছে তিনটি কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাবনা। এমনকী অধিবেশনে প্রস্তাবনা পাশ করাতে বিশেষ কোনও বেগ পেতে হয়নি সরকারকে। বিরোধী কংগ্রেসের সমর্থন পেলেই সহজেই খুলে যায় রাস্তা। এমনকী ওই প্রস্তাব পাশের সময় উপস্থিত থাকা বিজেপির একমাত্র বিধায়ক ও রাজাগোপালও এর বিরুদ্ধে ভোট দেননি বলে জানা যাচ্ছে।

‘সর্বনাশা’ কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ
এদিকে পাঞ্জাব পথ দেখানোর পর কেরলের আগেই ইতিমধ্যে একাধিক বিজেপি বিরোধী রাজ্য সরকার তাদের রাজ্যে এই কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশ করেছে। এবার বাম শাসিত কেরলও একই পথে হাঁটায় কেন্দ্রের উপর যে নতুন করে চাপ বাড়তে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। অন্যদিকে গত ২৩ ডিসেম্বর রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকে ‘সর্বনাশা' কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব পাশের উদ্যোগ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। তারপর থেকেই শোনা যাচ্ছিল কানাঘুষোঁ।

গত সপ্তাহেই রাজ্যপালের কাছে দরবার কেরল সরকারের
এমনকী কৃষি আইনকে সামনে রেখে বিশেষ অধিবেশনের জন্য গত সপ্তাহেই রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদের কাছে আবেদন করতে চলেছে কেরল সরকার। তারপর তাঁর সম্মতি মিলতেই বসে একদিনের বিশেষ অধিবেশন। কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়িয়ে এইতিমধ্যেই এই কৃষি আইনকে দেশের জন্য ‘সর্বনাশা' বলেও দাগিয়ে দিয়েছে কেরল সরকার। অন্যদিকে,দেশজোড়া কৃষক আন্দোলনের আবহেই জট কাটাতে গতকাল ফের কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সরকারপ। সেই বৈঠকে কৃষকদের ২টি দাবি মেনে নিয়েছে সরকার। কিন্তু মূল ইস্যু অর্থাৎ কৃষি আইন বাতিল নিয়ে এখনও কোনও রফাসূত্র মেলেনি বলেই জানা যাচ্ছে।

প্রস্তাব পাশের পর কী বললেন পিনরাই বিজয়ন ?
প্রস্তাব পাশের পরেই এই প্রসঙ্গে পিনরাই বিজয়নকে বলতে শোনা যায়, "কেন্দ্রের তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে দুর্ভিক্ষের দিকে এগোবে কেরল। গরিব, অভাবী মানুষের পাশে থাকার পরিবর্তে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে কৃষিপণ্যের ব্যবসা করার ছাড়পত্র দিচ্ছে সরকার। তুলে নিচ্ছে নূন্যতম সহায়ক মূল্য(এমএসপি)। যা গোটা দেশেরই বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে। "
গরু পাচার কাণ্ডে 'প্রভাবশালী' যুব তৃণমূল নেতার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআই-এর! জারি লুকআউট নোটিশ