তেলঙ্গানায় শেষ পাঁচ বছরে দত্তক নেওয়া ১৬টি শিশু ফিরে এসেছে
তেলঙ্গানায় শেষ পাঁচ বছরে দত্তক নেওয়া ১৬টি শিশু ফিরে এসেছে
গত পাঁচ বছরে তেলঙ্গানার স্টেট অ্যাডপশন রিসোর্স এজেন্সিতে (সারা) ১৬জন দত্তক নেওয়া শিশু ফিরে এসেছে। যা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে রাজ্য সরকারের। জাতীয় শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিশন (এনসিপিসিআর) এ বছরের সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল যে দেশজুড়ে দত্তক মা–বাবার কাছ থেকে দত্তক নেওয়া শিশুরা ফিরে আসছে। এনসিপিসিআর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে টিএনআইই এই তথ্য প্রকাশ করে। এনসিপিসিআর রাজ্যগুলিকে তাদের দত্তক পিতা–মাতার দ্বারা ফেরত পাঠানো শিশুদের সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দিতে বলেছে।
এ বছরের ৫ ডিসেম্বর সারা থেকে দত্তক নেওয়া করিমনগরের এক ১৪ বছরের কিশোরী আত্মহত্যা করে। সে অভিযোগ জানিয়েছিল যে দত্তক অভিভাবক তাকে অবহেলা করেছিল। এই ঘটনার পরই এনসিপিসিআরের কাছে এই দত্তক শিশুদের তথ্য সংগ্রহের গুরুত্ব বেড়ে যায়। দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৬টি দত্তক শিশু ফিরে এসেছে। সারার অধীনে বিভিন্ন সরকারি হোম বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিতে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে শিশুদের। অবাক করার মতো বিষয় হল, দত্তক মা–বাবার কাছ থেকে ফিরে আসা শিশুদের সম্পর্কে এখনও কিছুই জানে না শিশু ও নারী কল্যাণ বিভাগ। সরকারিভাবে ফিরে আসা শিশুদের বয়স জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। যদিও অধিকাংশ শিশুই কৈশোর বলে জানা গিয়েছে। তাদের লিঙ্গ এবং জেলাও এই তথ্যের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। এনসিপিসিআরের পক্ষ থেকে জানার চেষ্টীআ করা হচ্ছে যে দত্তক মা–বাবাদের সঙ্গে থাকতে গিয়ে শিশুদের কি ধরনের সমস্যা হচ্ছিল বা শিশু ও অভিভাবকের মধ্যে আদৌও সমন্বয় ছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও দেশের অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এই সংখ্যাটা নেহাতই অনেক কম।
আগের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে গোটা দেশজুড়ে ২৬০জন দত্তক শিশু ফিরে এসেছে। এর মধ্যে শীর্ষস্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র ও কর্নাটক। এই দুই রাজ্য থেকে ৫৬ ও ২৫ জন শিশু ফিরে এসেছে। ডব্লিউডিসিডব্লিউ খতিয়ে দেখছে যে কেন দত্তক শিশুরা বারংবার ফিরে আশছে এবং কাউন্সেলিংয়ের অভাব সহ যদি কোনও পদ্ধতিগত বিষয় থাকে সেটিও বিশদে জানার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে, দত্তক নেওয়ার পদ্ধতি চলাকালীনই বেশ কিছু শিশু ফিরে এসেছে, যা অনুমোদনের নীতির অন্তর্ভুক্ত। আবার দত্তক নেওয়ার একবছরের মধ্যেই কোনও কোনও শিশু ফের তাদের হোমে ফিরে আসার ঘটনাও ঘটেছে। সরকারিভাবে বলা হয়েছে যে, 'যেসব ক্ষেত্রে অভিভাবকরা দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরে সন্তান আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন, সেখানে একটি নতুনভাবে আবেদন আদালতে করতে হবে, যার পরে সন্তানের আইনগত অধিকার বাবা–মায়ের কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে সরকারকে দেওয়া হবে,’। জানা গিয়েছে, আত্মসমর্পণ করা ১৬ জন শিশুদের মধ্যে ৩ জনকে নতুন মা–বাবা পুনরায় দত্তক নিয়েছে।
মাখনের প্রলেপ লাগানো বক্সার দড়িতেই হবে নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি