লাভ জেহাদ বিতর্কের মাঝে আরও কড়া আইন অসমে! বিয়েতে ধর্ম ছাড়াও আরও বেশি কিছু জানতে চাইছে সরকার
লাভ জেহাদ বিতর্কের মাঝে আরও কড়া আইন অসমে! বিয়েতে ধর্ম ছাড়াও আরও বেশি কিছু জানতে চাইছে সরকার
ইতিমধ্যেই 'লাভ জেহাদ’ বিরোধী আইন আনতে মাঠে নেমে গিয়েছে প্রায় সমস্ত বিজেপি শাসিত রাজ্যই। রাজ্যপালের সম্মতির পর উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই তা কার্যকরীও হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে চূড়ান্ত খসড়া শুরু হয়ে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশেও। একই রাস্তায় কর্নাটকও। এমতাবস্থায় লাভ জেহাদ রোধে একধাপ এগিয়ে আরও কড়া আইন আনার পথে অসম সরকার।
ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে করতে গেলে দিতে হবে আগাম নোটিশ
বর্তমানে বেশিরভাগ রাজ্যেই ধর্ম পরিবর্তন করে বিবাহ করতে গেলে আগে থেকে নোটিশ দেওয়ার কথাও বলছে। কিন্তু উত্তর পূর্বের এই রাজ্য বিয়ের আগে শুধু ধর্মই নয়, আরও বেশি কিছু তথ্য জানতে চাইছে। ইতিমধ্যেই এই আইন প্রণয়নের কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানান অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই ক্ষেত্রে অসমের আইন উত্তরপ্রদেশ-মধ্যপ্রদেশের থেকে বেশ খানিকটা আলাদা হবে বলেই তাঁর মত।
ধর্মের পাশাপাশি বিয়ের আগে জানাতে হবে আয়ের উৎসও
সূত্রের খবর, নয়া আইনে বিয়ের আগে ধর্মের পাশাপাশি বর ও কনকে তাদের উপার্জন সম্পর্কেও জানাতে বলছে সরকার। তাঁদের চাকরি এ সম্পর্কেও যাবতীয় তথ্য জানাতে হবে। নতুন আইন হলে বিয়ের আগে বর-কনেকে একটি বিশেষ ফর্ম দেবে সরকার। সেখানে তাদের পারিবারিক তথ্য,উপার্জন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, স্থায়ী ঠিকানা ও ধর্ম সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানবে সরকার।
নারী ক্ষমতায়ানে বিশেষ ছাপ ফেলবে এই নয়া আইন
নারী ক্ষমতায়নে এই আইন বিশেষ ভাবে প্রভাব ফেলবে বলেও ইতিমধ্যেই মত প্রকাশ করেছেন অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর মতে, অনেক মেয়েরাই বিয়ের আগে তাঁর স্বামীর আয় সম্পর্কে সঠিক ভাবে অবগত থাকে না। পরে দেখা যায় তারা বেআইনি বা অবৈধ কোনও কাজে যুক্ত। এই সমস্যা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এই আইন। তাই অসমের বোনেরদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে রাজ্য সরকারের আইন আগামীর সমাজে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে বলেই মত হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
বিয়েতে ধর্মীয় পরিচয় নয়, মানুষই আসল! সাফ বার্তা এলাহাবাদ হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুধুমাত্র ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ে নয়, এই আইন সকল ধর্মের সমস্ত বিয়ের জন্যই এই আইন কার্যকরী হবে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশের লাভ জেহাদ বিরোধী আইনের পর গোটা দেশেই এই ইস্যুতে ব্যাপক তরজা শুরু হয়েছে। এমনকী এই নয়া আইন বলে ১ থেকে ৫ বছরের জেল এমনকী ‘অপরাধীদের' ১৫ হাজার টাকা জরিমানার কথাও বলছে যোগী সরকার। অন্যদিকে ভিন ধর্মে বিয়ে প্রসঙ্গে একটি রায়দানের সময় এলাহাবাদ হাইকোর্টকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে শোনা যায়, ‘বিয়েতে ধর্মীয় পরিচয় নয়, মানুষই আসল'। এমনকী এই ক্ষেত্রে সংবিধানের ২১ নম্বর ধারা অনুযায়ী ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন হাইকোর্টের বিচারপতিরা।