মাঠে-ময়দানে আর নয়, দেশ জুড়ে নারী পাচারে হাতিয়ার এখন ইন্টারনেট
মাঠে-ময়দানে নয়, দেশ জুড়ে নারী পাচারে হাতিয়ার এখন ইন্টারনেট
সাম্প্রতিক
একটি
আন্তর্জাতিক
সমীক্ষার
রিপোর্টে
প্রকাশিত
তথ্য
অনুযায়ী
ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীর
নিরিখে
কিছুদিনের
মধ্যেই
পৃথিবীর
দ্বিতীয়
বৃহত্তম
দেশে
উন্নীত
হতে
চলেছে
ভারত।
পাশাপাশি
ডিজিটাল
পরিষেবার
ব্যাপক
প্রচলনের
হাত
ধরে
ক্রমেই
উন্নত
ও
সহজতর
হচ্ছে
সাধারণ
মানুষের
জীবনমান।
এবার
দেশজুড়ে
ইন্টারনেটের
এই
ব্যাপক
সম্প্রসারণই
নারী
পাচারকারীদের
হাত
আরও
শক্ত
করছে
বলে
মত
গোয়ার
একটি
স্বেচ্ছাসেবী
সংস্থার।
চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
‘অন্যায় রহিত জিন্দেগি' নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অনলাইন নারীপাচার সংক্রান্ত একটি বিশেষ রিপোর্টে উঠে এল বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোয়া পুলিশের নারী পাচার দমন শাখার দ্বারা নিয়োজিত ওই প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে ২০১৪ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে অনলাইন নারীপাচার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশজুড়ে। অনলাইনে যৌন পরিষেবার বাণিজ্যিকীকরণের ফলেই মূলত পাচারকারীদের এই রমরমা বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ওই সময় আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে প্রায় ৩৬ শতাংশই অনলাইন পাচারকারীদের শিকার হয়েছেন।
ইন্টারনেট সর্বনাশা
অন্যদিকে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে গ্রামাঞ্চল গুলি থেকে শহরগুলিতে ইন্টারনেটের সম্প্রসারণ বেশি হওয়ায় শহরাঞ্চলের বিভিন্ন স্কুল, কলেজের মেয়েদেরকেই তুলনামূলক ভাবে বেশি নিজেদের ‘টার্গেট' বানাচ্ছে পাচারকারীরা। ওই বিশেষ প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী অনলাইন পাচারকারীদের খপ্পরে পরা মহিলাদের মধ্যেই ৬৬শতাংশই দেশের কোনও কোনও না কোনও শহর বা শহরতলির বাসিন্দা।
গ্রামাঞ্চলে প্রভাব কম
এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ‘অন্যায় রহিত জিন্দেগি' নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মুখ্য পরিচালক অরুণ পাণ্ডে বলেন, ‘পরিবেশগত কিছু সমস্যার জন্যই মূলত গ্রামাঞ্চল গুলিকে এড়িয়ে চলছে পাচারকারীরা। তাই বলে এটা ভেবে নেওয়া ভুল হবে গ্রামের মহিলাদের উপর তাদের নজর একদমই নেই।'
গোয়ায় ব্যাপক দাপট
গত পাঁচ বছরে শুধুমাত্র সৈকত রাজ্য গোয়া থেকে ৩৫৩ জন মহিলাকে পাচারকারীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এই সাফল্যে বিশেষ খুশি নয় রাজ্য তথা পুলিশ প্রশাসন। পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ পর দেখা যাচ্ছে এই যৌন পরিষেবা গুলির অধিকাংশই ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় প্রায় প্রতিক্ষেত্রেই পাচারকারীদের চিহ্নিত করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। তার ফলে আসল অপরাধী থেকে যাচ্ছে মুখোশের আড়ালে।
অল্পবয়সীদের ঝোঁক বেশি
পাহাড়ের গ্রামীণ এলাকার মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করা ‘ম্যান-কাইন্ড ইন অ্যাকশন ইন রুরাল গ্রোথ' নামে দার্জিলিংয়ের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নিরয় জন ছেত্রীও এই প্রসঙ্গে তার উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি বর্তমানে অনেক অল্পবয়স্ক পড়ুয়াই এই অনলাইন নারী পাচার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। যাদের অনেককেই আমরা শনাক্ত করতে সক্ষমও হয়েছি।' বর্তমানে নারী পাচার রোধে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে পাহাড়ের প্রায় ১৫০০ পড়ুয়া ও একাধিক স্কুল কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা কথা বলছেন বলেও এদিন জানান তিনি।
কাশ্মীর ভারতের অংশ, ভূস্বর্গে পৌঁছনোর আগেই স্পষ্ট বার্তা ইউরোপীয় দলের প্রতিনিধির