আলওয়ারের গণপ্রহারের ঘটনায় গুরুতর অভিযোগ পুলিশের নামে, রক্ষকই কি ভক্ষক
আলওয়ারে গণপ্রহারে মৃত্যুর ঘটনায় মুসলিম ব্যক্তির মৃত্যুর জন্য গোরক্ষকরা পুলিশকে দায়ী করছে।
ফের রাজস্থানের আলওয়ারে এক ব্যক্তিকে গরু পাচারের সন্দেহে পিটিয়ে মারা হয়েছে। আরেকজন পালিয়ে বেঁচেছেন। এই ঘটনায় এখনও অবধি ৩ জন 'গোরক্ষককে' গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি ওই ব্যক্তি মারা গিয়েছেন পুলিশের হেফাজতে, গণহিংসার বলি তিনি নন। ঘটনায় আরও নানা কারণেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশের নিজস্ব বয়ানেই বলা হয়েছে ঘটনার খবর পুলিশের কাছে আসে বেলা ১২ টা ৪০ নাগাদ। আধঘন্টার মধ্যে লালাওয়ান্ডির জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছায় তারা। সেখান থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাকবর খানকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছায় তারা ৪টের সময়। সামান্য দূরের হাসপাতালে পৌঁছাতে ৩ ঘন্টটা কেন লাগল, তার উত্তর নেই পুলিশের কাছে।
#Rajasthan: We both were going with our 2 cows, on seeing a speeding bike the cows ran into the fields where 6-7 people were present who fired at us, I ran away from the spot to save my life, later found that my friend was killed: Aslam, eye witness in Alwar lynching case pic.twitter.com/tfKujMS8We
— ANI (@ANI) July 22, 2018
গোরক্ষকদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত রামগড়ের বিজেপি বিধায়ক জ্ঞানদেব আহুজা প্রশ্ন তুলেছেন, '১টা থেকে ৪টে পর্যন্ত পুলিশ কি করছিল?' স্থানীয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদও প্রশ্ন তুলেছে মাত্র ৫-৬ কিলোমিটার পথ পারি দিতে পুলিশের অত সময় লাগল কেন, তা নিয়ে।
ভিএইচপির নওয়াল কিশওর শর্মার দাবি, যাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তারা বরং রাকবরকে বাঁচানর চেষ্টা করেছিল। তারাই শর্মাকে খবর দিয়েছিল ওই ঘটনার। তারা নাকি রাকবরকে পুলিশের ভ্যানে তুলতেও সাহায্য করেছিল। কিন্তু পুলিশ চা খেয়ে সময় নষ্ট করেছে। এমনকী পুলিশ পরে থানায় এনে তাকে পিটিয়ে মেরেছে, এমন গুরুতর অভিযোগও তুলছেন তিনি।
পুলিশ এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও আঠখ ব্যক্তিরা যে রাকবরকে সাহায়্য করেছিল তা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরাও। কাজেই শর্মার বাকি দাবিও সত্য বলেই অনেকে মনে করছেন। পুলিশ একথাও অস্বীকার করেছে। রামগড় থানার ওসি সুভাষ শর্মা বলেছেন, 'ডাক্তাররা কি বলবেন তা তো আর আমরা ঠিক করে দিতে পারি না, কিন্তু এরকম কিছু ঘটেনি।'
রাকবরকে হাসপাতালে নিতে সময় লাগা নিয়ে তার বক্তব্য, তারা রাকবরের বন্ধুর খোঁজ করছিলেন। কিন্তু সে তত্ত্ব ধোপে টিকছে না। এই ঘটনায় পুলিশের দিকেই আঙুল উঠছে।