তিনবার 'তিন তালাক' পেয়ে, চতুর্থ স্বামীর সঙ্গে জোর করে থাকতে মরিয়া মহিলা
এক ৩৫ বছর বয়সী মহিলাকে গত ১২ বছরে তিনবার তিন তালাক দিয়েছেন প্রাক্তন স্বামীরা। এখন তার ভয় চতুর্থ স্বামীও তাঁকে তিন তালাক দেবেন। তবে যা কিছু হোক তিনি স্বামীর ঘর করতে চান।
লখনৌ, ৩ মে : তিন তালাক নিয়ে সারা দেশে বিতর্ক চলছে। এই প্রথার ভয়াবহ রূপের কথা শোনা গেল এক ৩৫ বছর বয়সী মহিলার মুখে। তাঁকে গত ১২ বছরে তিনবার তিন তালাক দিয়েছেন প্রাক্তন স্বামীরা। এখন তার ভয় চতুর্থ স্বামীও তাঁকে তিন তালাক দেবেন।
মহিলার কথায়, গত ১২ বছর দুঃস্বপ্নের মতো গিয়েছে। এমনটা আবারও হোক তা আর চান না মহিলা। তাঁর নাম তারা খান। তিনি পড়াশোনা জানেন না। বরেলির তাহাকা নাগারিয়া গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ খানের সঙ্গে তিনি থাকতেন।
তারা জানিয়েছেন, বিয়ের সাত বছরের মধ্যে তাদের কোনও সন্তান হয়নি। স্বামী কমবয়সী মহিলাকে বিয়ে করেন ও তাঁকে তালাক দেন।
প্রথম বিয়ে ভাঙার পরে ওই মহিলা আত্মীয়র বাড়িতে থাকছিলেন। সেখানে থাকতেই দ্বিতীয় বিয়ে ঠিক হয় গুনসা গ্রামের বাসিন্দা পাপ্পু খানের সঙ্গে। সেই স্বামীও অত্যাচারী ছিল। তার প্রতিবাদ করতেই মুখে তিন তালাক দিয়ে দেয় পাপ্পু। এভাবে মাত্র তিন বছরে দ্বিতীয় বিয়ে ভাঙে তারার।
বিচ্ছেদের পর মামার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন তারা। বয়স অল্প বলে ফের তাকে বিয়ে করতে চাপ দেওয়া হয়। সকলের জোরাজুরিতে ঘুন্দাপুরের বাসিন্দা সোনুকে বিয়ে করেন তারা। তবে ভাগ্যের ফেরে সোনুও মারধর শুরু করে। একদিন মারধর করার পরে তাকে মামার বাড়িতে ফেলে দিয়ে যায়। এই বিয়ে টেঁকে মাত্র চারমাস।
এরপর ফের একবার সকলের অনুরোধে গত জুলাইয়ে শামশেদকে বিয়ে করে তারা খান। তবে ভাগ্য বদলায় না। শামশেদও অন্যদের মতোই অত্যাচারী। তবে এদিকে এতবার বিয়ে হওয়ার পরে তারাকে ঘরে তুলতে রাজী নয় তাঁর পরিবারও। এদিকে তারাও স্বামীর ঘর করতে মরিয়া।
যা কিছু হোক তিনি স্বামীর ঘর করতে চান। তাঁকে যাতে আর তালাক না দেওয়া হয় সেজন্য প্রয়োজনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেও বিষয়টি পৌঁছে দিতে চান তিনি।