লজ্জায় মাথা নত, মাথাপিছু জিডিপির নিরিখে প্রতিবেশী বাংলাদেশেরও নিচের ধাপে ভারত
ধসে পড়া অর্থনীতি, বিপর্যস্ত একের পর এক ক্ষেত্র, জীবনহানি, শতবিভক্ত জীবিকা করোনা আবহে দেশের বেহাল দশা অজানা নেই কারোর। এরই মাঝে ইন্টারন্যাশনাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের রিপোর্ট পেশ হয়েছে মাথাপিছু জিডিপির পূর্বাভাস সংক্রান্ত। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে যে ভারত প্রতিবাশী বাংলাদেশেরও নিচের ধাপে চলে যাবে।
চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে
আইএমএফ-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, যে চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি ১০.৩ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। এর জেরে দেশের অর্থনীতির উপর বিশাল প্রভাব পড়তে চলেছে। 'ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক' রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের মাথাপিছু জিডিপি নেমে দাঁড়াবে ১৮৭৭ ডলারে। এদিকে এই সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু জিডিপি হবে ১৮৮৮ ডলারে।
৯৩ শতাংশ কর্মক্ষমতা ফিরে এসেছে দেশে
অবশ্য রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত দ্রুতই ফিরে আসবে সঠিক পথে। করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে আনলক প্রক্রিয়া চালু হয়েছে দেশে। এহেন পরিস্থিতিতে কোভিড পূর্ববর্তী অর্থনৈতিক পর্যায়ের ৯৩ শতাংশ কর্মক্ষমতা ফিরে এসেছে দেশে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেও উৎসবের মরশুমের আগে শিথিল করা হয়েছে করোনা বিধিনিষেধ।
পরবর্তী বছরে চিনকে পিছনে ফেলবে ভারত
আইএমএফ জানাচ্ছে, ২০২১ সালে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে ৮.৮ শতাংশ। এর ফলে ফের বিশ্বের সব থেকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে ভারত। এই একই সময় চিনের ৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হারকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত। এদিকে চলতি বছরে বিশ্ব অর্থনীতি ৪.৪ শতাংশ হারে সঙ্কুচিত হবে বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ বিরোধীদের
এদিকে এই রিপোর্ট পেশ হতেই কেন্দ্রকে আক্রমণ শআনিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে অভিষেক টুইট করে লেখেন, 'বাংলাদেশ ভারতকে ছাপিয়ে যাবে তাদের উন্নয়নের জন্যে নয়। বরং এটি হবে কারণ ভারত পিছিয়ে পড়ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।'
শক্তি বৃদ্ধি বাম জোটের! কয়েক দশকের শরিকি সঙ্গ ছেড়ে লাল ঝান্ডার ছত্রছায়ায় কেরল কংগ্রেস