পরিবেশ রক্ষায় পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত
পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জও। চিনের প্রেসিডেন্টের সফর কালেই মামাল্লাপূরমের সমুদ্র সৈকতে স্বচ্ছতার অভিযান চালিয়ে মোদী বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারত পরিবেশ নিয়ে কতটা সচেতন। সেই পরিবেশ রক্ষার তাগিতেই বৈরিতা ভুলেই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মেলাল ভারত। আইএমডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হিন্দুকুশ পর্বতের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে যথার্থ তথ্য পেতে পাকিস্তান এবং চিনের আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে ভারত।
হিমালয়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাস কীভাবে দেওয়া সম্ভব এই নিয়ে প্রাদেশিক আবহাওয়া দফতর গুলির সঙ্গে একটি এয়ার্কশপ করেছে আইএমডি। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থা পক্ষ থেকে ভারতীয় আবহাওয়া সংস্থাকে এই বিষয়ে সহযোগিতা করার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তাতেই সাড়া দিয়েছে ভারত।
ভারতের আবহাওয়া সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে হিন্দুকুশ ও হিমালয়কে তৃতীয় মেরু হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু ছাড়াও এই অঞ্চলটির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। সেকারণেই ভারতকে হিমালয়ের আবহাওয়ার পূর্বাভাস জানিয়ে সহযোগিতার অনুরোধ করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থার পক্ষ থেকে এই তৃতীয় মেরুর জলবায়ু সম্পর্কে তথ্য পাওয়া জন্য ইসলামাবাদ, িদল্লি এবং বেজিং এই তিন জায়গায় নোডাল কেন্দ্র গড়ে তোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই অনুরোধেই সাড়া দিয়েছে ভারত।
হিন্দুকুশ এবং হিমালয় পর্বত এশিয়ার বৃহত্তম নদী গুলির জলের উৎস। বিশ্বের বৃহত্তম জলের উৎস হিসেবে হিমালয় এবং হিন্দুকুশ পর্বতকে অন্যতম বলে বিবেচনা করা হয়। তাই এই এলাকার জয়বায়ুতে কী পরিবর্তন হচ্ছে সেটা আগে থেকে নজরে রাখা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রায় ৬টি দেশ আফগানিস্থান, পাকিস্তান, ভারত, চিন, বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মায়ানমারের জলের উৎস হিমালয় আর হিন্দুকুশ পর্বত।