প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-তেলেঙ্গানা, হলুদ সতর্কতা জারি, সরকারি ছুটি ঘোষণা
প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-তেলেঙ্গানা, হলুদ সতর্কতা জারি, সরকারি ছুটি ঘোষণা, পর্যবেক্ষণে জগন, কেসিআর
প্রলয় নেমেছে যেন। এমন বর্ষণ আগে কখনো দেখেনি রুক্ষ-শুষ্ক হায়দরাবাদ। রাস্তা যেন নদী হয়ে গিয়েছে। তীব্র স্রোতে জল বইছে রাস্তায়। আতঙ্কে ঘরে সিঁধিয়েছেন মানুষজন। এখনই রেহাই নেই আরও বর্ষণের পূর্বাভাস দিলে আইএমডি হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হায়দরাবাদে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শহরের সব সরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বসেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর এবং অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি।
বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত অন্ধ্র-তেলেঙ্গানা
ভয়ঙ্কর বৃষ্টি শুরু হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলঙ্গানা। ফিরার পথে যেন মৌসুমি বায়ু সব বৃষ্টি উজার করে দিয়েছে এই দুই রাজ্যে। এখনও পর্যন্ত হায়দরাবাদে যে পরিমান বৃষ্টি হয়েছে তা এযাবত রেকর্ড বলে জানিয়েছে আইএমডি। হায়দরাবাদের একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক পথে সামসাবাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। শহরের একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা শহরে।
হলুদ সতর্কতা জারি
হায়দরাবাদ যেন ভাসছে। একাধিক জায়গায় জল জমে গিয়েছে। ঘরের ভেতরে জল ঢুকে গিয়েছে।গৃহহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্যমানুষ। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত জলের তোড়ে ভেসে গিয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আইএমডির পক্ষ থেকে আরও বর্ষণের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
রাজ্যে ছুটি ঘোষণা
পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি দফতরে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরেই থাকার অনুরোধ জানিয়েছে স্থানীয় পুলিস প্রশাসন। সামসাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছনোর জন্য যাত্রীদের ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক না ধরে অন্যপথ ধরার পরামর্শ গিয়েছেন সাইবারাবাদ ট্রাফিক পুলিস। গোটা রাজ্যে ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
পরিস্থিতি পর্যালোচনায় কেসিআর, জগন
দুইব রাজ্যেই সংকট নেমে এসেছে। পরিস্থিতি পর্যালচনায় দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাই জরুরি বৈঠকে বসেছেন। ত্রাণ সামগ্রি মজুত করা নিয়ে জরুরি বৈঠক শুরু হয়েছে অন্ধ্র প্রদেশে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন রেড্ডি বৈঠক করছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে। অন্যদিকে কেসিআরও পরিস্থিতি পর্যালোচনা শুরু করেছেন। ত্রাণ বিলি ও উদ্ধার কাজের গতি প্রকৃতি খতিয়ে দেখছেন তিনি।
ফুঁসছে গোদাবরী, কৃষ্ণা
প্রবল বর্ষণে গোদাবরী নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে একাধিক জায়গায়। অন্যদিকে কৃষ্ণা নদীর জলও ঝুকে পড়েেছ একাধিক এলাকায়। নদীর তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দুর্গতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
'গতি' থেকে বাঁচলেও বজ্রবিদ্যুতের সঙ্গে হতে পারে ঝড়! উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়ার কোন সতর্কতা