করোনা-জয় করার পরও কীভাবে পুনঃসংক্রমণ হচ্ছে, গবেষণা আইসিএমআরের বিজ্ঞানীদের
করোনার সংক্রমিতের পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রশংসনীয় গবেষণালব্ধ ফল পেয়েছে ভারতীয় মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআর।
করোনার সংক্রমিতের পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে একটি প্রশংসনীয় গবেষণালব্ধ ফল পেয়েছে ভারতীয় মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআর। আইসিএমআরের বিজ্ঞানীদের একটি দল ভারতে সারস-কোভিড ২ ভাইরাসে একটি গবেষণায় জানতে পেরেছে, একই ব্যক্তির পুনরায় সংক্রমিতের সম্ভাবনা সম্বন্ধে।
এপিডেমিওলজি অ্যান্ড ইনফেকশন জার্নালে প্রকাশের জন্য এক গবেষণায় বিজ্ঞানীরা ১৩০০ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করেছেন। এমনকী দুবার করোনা সংক্রমণের ইচিবাচক ফলাফলের মধ্যেও পরীক্ষা করেছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ১৩০০ জন ব্যক্তির মধ্যে ৫৮ জনের পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে। অর্থাৎ ৪.৫ শতাংশ রোগী পুনরায় সংক্রমিত হতে পারেন।
পরীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই ৫৮ জনের শরীরে দুবার ইতিবাচক ফলাফল কমপক্ষে ১০২ দিন বাদে এসেছিল এবং এর মধ্যেও তাদের নেতিবাচক পরীক্ষার ফলাফল হয়েছিল। বর্তমানে এটি স্পষ্ট নয় যে, এক বার আক্রান্ত ব্যক্তি যখন অ্যান্টিবডি তৈরি হয় অর্থাৎ এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিকাশ করে, তা কতদিন স্থায়ী হয়। সে পুনরায় সংক্রামিত হতে পারে কি না।
করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা আছে কি না তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপেই দূর হবে না, লোকেরা কতক্ষণ মাস্ক পরে থাকছেন এবং শারীরিক দূরত্ব মেনে চলছেন কি না, তার উপরও নির্ভর করবে। আর এটি টিকা নেওয়া সত্ত্বেও প্রভাব ফেলতে পারে।
এখন পর্যন্ত পুনরায় সংক্রমণ খুব কম ক্ষেত্রেই ঘটেছে। হংকং থেকে গত বছরের আগস্টে প্রথম পুনরায় সংক্রমিতের খবর পাওয়া গেছে। এর পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেলজিয়াম থেকেও বেশ কয়েকটি পুনরায় সংক্রমণের খবর মেলে। এমনকি ভারতেও পুনরায় সংক্রমণ হয়েছে। করোনাজয়ী রোগীরা তিন মাস পর্যন্ত নিম্ন স্তরের ভাইরাস বহন করতে পারেন। তবে তা ওই ব্যক্তিকে অসুস্থ করতে বা অন্যের মধ্যে এই রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর পক্ষে পর্যাপ্ত নয়।