আহত, তৃষ্ণার্ত অভিনন্দনকে পাক-সেনা কতটা নির্মমভাবে জেরা করেছিল!পাকিস্তানের মুখোশ খুলে গেল
পাকিস্তান সেনার হাতে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান বন্দি হতেই একের পর এক ভিডিও ও ছবি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। প্রাথমিকভাবে সমস্ত ছবি ও ভিডিওতেই রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনন্দনকে দেখা যায়।
পাকিস্তান সেনার হাতে উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান বন্দি হতেই একের পর এক ভিডিও ও ছবি প্রকাশ্যে আসতে থাকে। প্রাথমিকভাবে সমস্ত ছবি ও ভিডিওতেই রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনন্দনকে দেখা যায়। এরপর ভিডিও বার্তায় অভিনন্দনকে দিয়ে পাকিস্তান সেনার প্রশংসাও করিয়ে নেওয়া হয়। এদিকে, বায়ুসেনার এই বীর যোদ্ধা দেশে ফিরতেই তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। শুরু হয় ডিব্রিফিং প্রক্রিয়া। আর তাতেই জানা যায় পাকিস্তানে বন্দি অবস্থায় অভিনন্দনের সঙ্গে ঠিক কী কী করা হয়েছিল।
কিভাবে পৌঁছলেন পাকিস্তান
২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ২০ টি এফ ১৬ ভারতে ঢুকে পড়ে। মিগ ২১ বাইসন থেকে মাঝ আকাশের ডগ ফাইটে পাকিস্তানের এফ ১৬ কে ধূলিস্যাৎ করেন উইং কামান্ডার অভিনন্দন। আর সেই ঘটনার জেরেই তিনি লড়াইয়ে পর অবতরণ করতে বাধ্য হন পাকিস্তানের মাটিতে।
পাকিস্তানে যা ঘটেছে
পাকিস্তানে অভিনন্দনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর, ওই রক্তাক্ত অবস্থায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। সঙ্গে উচ্চস্বরে চালিয়ে দেওয়া হয় মিউজিক। যাতে ভীষণভাবে অস্বস্তিবোধ করেন ক্লান্ত, আহত ভারতীয় উইং কামান্ডার। এমনই তথ্য উঠে আসছে বিভিন্ন সূত্র মারফৎ।
বায়ুসেনায় যা শেখানো হয়ে থাকে..
সেনা
অফিসারদের
প্রশিক্ষণ
দেওয়াই
থাকে,
যাতে
ধরা
পড়লেও
যতটা
সম্ভব
শত্রু
শিবিরের
সামনে
মুখ
না
খোলেন।
আর
বায়ুসেনা
সূত্রের
দাবি
,
সাহসী
উইং
কামান্ডার
এক্কেবারে
সেটাই
মেনে
পাকিস্তানের
মাটিতে
মানসিক
যুদ্ধ
চালিয়েছেন।
কোন তথ্য হাতাতে চেয়েছিল পাকিস্তান?
অভিনন্দনের থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের সম্পর্কে কিছু তথ্য হাতাতে চেষ্টা করে পাকিস্তান। এদিকে ধরা পড়ার আগেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি অভিনন্দন গিলে ফেলেন। কিছু ভাসিয়ে দেন জলে। তাঁকে বাগে পেয়ে পাকিস্তান জানতে চায়, বায়ুসেনার যুদ্ধবিমানের উত্তরণ অবতরণের সময়,বা সময়ের ফারাক সম্পর্কে । যদিও ৩৫ বছরের অভিনন্দনের কাছ থেকে কোনও উত্তরই পায়নি তাঁরা।
প্রাথমিকভাবে কোনও চিকিৎসা হয়েছিল কি?
অভিনন্দন পাকিস্তানের মাটিতে অবতরণের পর তাঁকে ঘিরে ধরে স্থানীয় জনতা। চলে অকথ্য মারধর। সেই সময় জল চাইলেও তাঁকে জল দেওয়া হয়নি। গলা শুকিয়ে আসা অবস্থাতে অনেক ঘণ্টা কাটাতে হয় অভিনন্দনকে। প্রাথমিকভাবে কোনও চিকিৎসাও করা হয়নি। যদিও পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় পাকিস্তানের সেনা হাসপাতালে।