'আমি একজনের তলোয়ার বাজেয়াপ্ত করছিলাম, তার বন্ধু গুলি চালায়' বললেন খারগোনের এসপি
'আমি একজনের তলোয়ার বাজেয়াপ্ত করছিলাম, তার বন্ধু গুলি চালায়' বললেন খারগোনের এসপি
রাম নবমী উপলক্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল মধ্যপ্রদেশ। অভিযোগ উঠেছিল, রামনবমীর মিছিল চলাকালীন তাতে পাথর ছুঁড়ে হামলা করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়া হিসেবে পালটা ভাঙচুর চালিয়েছে রামভক্তরাও। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন খারগোন জেলার এসপি সিদ্ধার্থ চৌধুরী। উন্মত্ত জনতার হাত থেকে তরোয়াল কেড়ে নেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হন তিনি৷
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, কী ঘটেছিল সেদিন? সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, 'ধর্মীয় হিংসার কথা শুনেই আমি ছুটে গিয়েছিলাম। আমি দেখলাম এক যুবক আরেকজনের দিকে তরোয়াল হাতে ছুটে যাচ্ছে। আমি তার হাত থেকে অস্ত্রটি কেড়ে নিতে চেষ্টা করি। তখনই তার বন্ধু আমার দিকে গুলি চালায়। পায়ে গুলি লাগে, আহত হই আমি।' এই মুহূর্তে অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন সিদ্ধার্থ। জানা গিয়েছে, কোনওরকমের অস্ত্রপচার দরকার হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম নিতে বলেছেন।
প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, গত ১০ এপ্রিল রামনবমীর মিছিলে পাথর ছোঁড়া হয়েছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে রাস্তায় নামতে হয়েছিল মধ্যপ্রদেশ পুলিশকে। অবস্থার অবনতি এতটাই হয় যে, কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে বাধ্য হয় পুলিশ৷ এক প্রবীণ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাম নবমীর মিছিলে পাথর ছোঁড়ায় অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ হয় জনতা। জনগণ আগুন লাগিয়ে দেয় একাধিক যানবাহন, বাড়িতে। গোটা ঘটনায় আহত হয়েছেন মোট তিনজন পুলিশ আধিকারিক। এই ঘটনার ফলে কার্ফ্যু জারি হয়েছে গোটা অঞ্চলে। স্বাস্থ্যজনিত প্রয়োজন না থাকলে নাগরিকদের বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করেছে প্রশাসন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
অনুব্রতর গড়ে আক্রান্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, পায়ে চোট পেলেন শুভেন্দু
মুসলিম ধর্মগুরুরা অবশ্য বলছেন, খারগোনে এই হিংসার দায় তাঁদের সম্প্রদায়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। ভোপালে মুসলিম ধর্মগুরুদের একটি দল সেখানের ডিজিপির সঙ্গে দেখা করে এবং জানায় যে, গেরুয়া পতাকা নিয়ে আপত্তিজনক স্লোগান দিচ্ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। সেই কারণেই হিংসার সূত্রপাত হয়৷ তা সত্ত্বেও শুধু মুসলিমদের দায়ী করা হচ্ছে।