মহামারী পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের ফিটনেস এবং স্ট্রেংথ বাড়াবেন? তিনটি সহজ উপায় কাজ করবে ম্যাজিকের মতো
মহামারী পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের ফিটনেস এবং স্ট্রেংথ বাড়াবেন? তিনটি সহজ উপায় কাজ করবে ম্যাজিকের মতো
ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে দেশে করোনা পরিস্থিতি। এর মধ্যে চালিয়ে যেতে হবে কাজ। ভয় পেলে চলবে না। করোনা থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি তৈরি করতে হবে প্রতিরোধ শক্তি। একমাত্র শরীরের ভেতরের শক্তিই করোনাকে কাবু করতে পারে। শরীরের স্ট্রেনথ এবং ফিটনেস নিয়ে কয়েকটি টিপস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যেগুলি নিয়মত করলে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
করোনায় বাইরে কাজে ঝুঁকি
করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ যেভাবে আছড়ে পড়েছে গোটা দেশ ত্রাহি ত্রাহি করছে। কিন্তু এই পরিস্থিতির মধ্যেই কাজ করতে হচ্ছে সকলে।কারণ জীবন তো চলবে। এবং চালাতেও হবে। তারজন্য কাজ করা জরুরি। তাই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কাজ করতে হচ্ছে।এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি সময় ধরে সকলকে কাজ করতে হচ্ছে।দিনে ১২ ঘণ্টাও কাজ করতে যেতে হচ্ছে সকলে। এই পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে সুস্থ এবং সতেজ রাখাটা খুব জরুরি হয়ে উঠেছে।
ফিটনেসই আসল মন্ত্র
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে সবয়েচে বেশি যেটা জরুরি সেটা নিজেরে ফিট রাখা। এবং নিজের ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানো। এই দুটি জিনিস বাড়াতে পারলে সহজে করোনা কাবু করতে পারবে না। সেকারণেই কোমরবিডিটি যাঁরা তাদের বেশি কাবু করে ফেলছে করোনা। আর যাঁদের কোমরবিডিটি নেই তাদের সহজে কাবু করতে পারছে না করো না সংক্রমণ। সেকারণে রোজ নিজের ফিটনেস আর স্ট্রেংথ বাড়ানো ভীষণ ভাবে জরুরি।
তিনটি উপায়
বিশেষজ্ঞরা বলছেন তিনটি সহজ উপায়েই নিজের ফিটনেস এবং স্ট্রেংথ বাড়ানো যায়। তারমধ্যে অন্যতম হল শরীর চর্চা। এই শরীর চর্চা নিয়মিত করতে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। ব্যাথা-বেদনা সহজে কাবু করতে পারেনা। শরীর চর্চার মধ্যে ছেলেদের যেটা করা অত্যন্ত জরুরি সেটা পুশ আপ। মহিলারাও সেটা করতে পারেন। তবে সেটা উঠবসের মতো হলে বেশি কার্যকরী হবে। যত দ্রুত না থেমে সেটা করতে পারবেন তত শরীরে ফিটনেস বাড়বে।
দ্বিতীয় ও তৃতীয় উপায়
প্রথম ফিটনেসে শরীরে উপরের অংশের দিকে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় উপায় হল শরীরের নীচের অংশের ফিটনেস। অর্থাৎ কোমড়ের নীচের অংশ। এটা খুব সহজ উপায়েই করা যায়। তার জন্য জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। নিজের কর্মস্থলে কাজের ফাঁকে এই ফিটনেস টিপস প্রয়োগ করতে পারেন যেকেই। কাজের ফাঁকে একবার এই ফিটনেস ট্রিক করে ফেলতে পারেন। নিচু হয়ে ঝঁকে পায়ের পাতা ছুঁতে হবে। এরকম বেশ কয়েকবার হাঁটু না ভাঁজ করে করতে পারলেই কেল্লা ফতে। আর তিন নম্বর উপায় হল কার্ডিওভাসকুলার এক্সাসাইস। এর জন্য দৌড়তে হবে আপনাকে। প্রতিদিন নিয়ম করে দৌড়ন অথবা জোরে হাঁটা অভ্যাস করুন ।তাতে হার্টের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।