ঘূর্ণিঝড় 'ওখি' নামকরণ কী করে হল জানেন কি
দুই রাজ্য তছনছ করে শক্তি বাড়িয়ে লাক্ষাদ্বীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওখি।
বঙ্গোপসাগরে শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্তের জেরে ফের একবার বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুর জনজীবন। সঙ্গে কেরলেও ঘূর্ণিঝড় ওখি আছড়ে পড়েছে। তামিলনাড়ু ও কেরল মিলিয়ে মোট ৮জনের প্রাণ গিয়েছে ইতিমধ্যে। এই দুই রাজ্য তছনছ করে শক্তি বাড়িয়ে লাক্ষাদ্বীপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ওখি। [আরও পড়ুন : কেন প্রতিবার ঘূর্ণিঝড়ের আলাদা নাম দেওয়া হয় জানেন কি]
আগামী দুইদিন প্রবল বৃষ্টিপাত হবে লাক্ষাদ্বীপে। এমনটাই সতর্কবাণী শুনিয়েছে আবহাওয়া দফতর। প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের যেমন আলাদা নাম দেওয়া হয় এটারও দেওয়া হয়েছে। কীভাবে এই নামটি এসেছে তা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
ওখি নামটি দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলায় আঁখি অর্থাৎ চোখ থেকে ওখি। ঘূর্ণিঝড় রিসার্চ ডিভিশন ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রতিবারই আলাদা নাম দেয়। এক একটি দেশ এক একবার নাম দিয়ে থাকে। এবার ছিল বাংলাদেশের পালা। এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়ার কথা ভারতের। এরপরে ঝড় হলে তার নাম হবে 'সাগর'।
[আরও পড়ুন:কেরল, তামিলনাড়ু তছনছ করে ঘূর্ণিঝড় 'ওখি' এগোচ্ছে লাক্ষাদ্বীপের দিকে, ইতিমধ্যেই মৃত ৮]
কন্যাকুমারীর দক্ষিণে ও শ্রীলঙ্কার পশ্চিমে এই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়ে শক্তি সঞ্চয় করেছে। তিরুবনন্তপুরম থেকে এর দূরত্ব ছিল ১২০ কিমি ও শ্রীলঙ্কার গল থেকে ৩৪০ কিমি। সেখান থেকে তামিলনাড়ু ও কেরলের দিকে ধেয়ে এসে ক্ষয়ক্ষতি চালিয়ে লাক্ষাদ্বীপের দিকে এটি ধেয়ে গিয়েছে।
দক্ষিণ কেরল, দক্ষিণ তামিলনাড়ু ও লাক্ষাদ্বীপে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়েছে। বর্তমানে যে অবস্থা তাতে ঘূর্ণিঝড় ওখি লাক্ষাদ্বীপের দিকে এগোচ্ছে। এবং তার শক্তি ক্রমেই বাড়ছে। ফলে ঝড়ের পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘণ্টা লাক্ষাদ্বীপে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।