কী করে ভাইজ্যাগে গ্যাসের ট্যাঙ্কার লিক করেছিল, তদন্তে উঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য
করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যেই ভয়ঙ্কর নারকীয় কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল ভাইজ্যাগে। এলজি পলিমারসে কারখানা থেকে বিষাক্ত স্টায়ারিন গ্যাস লিক করতে শুরু করে।
করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যেই ভয়ঙ্কর নারকীয় কাণ্ড ঘটে গিয়েছিল ভাইজ্যাগে। এলজি পলিমারসে কারখানা থেকে বিষাক্ত স্টায়ারিন গ্যাস লিক করতে শুরু করে। তাতে প্রায় ১১ জন মারা গিয়েছিলেন। অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন শতাধিক। কীকরে এই গ্যাসলিক শুরু হল তার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
কী করে গ্যাস লিক
গ্যাসলিকের কারণ সন্ধানে গিয়ে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে লকডাউনের পর থেকে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গ্যাস ট্যাঙ্কার দুটির ভেতরের তাপমাত্রা ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে গিয়েছিল। যে গ্যায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করে রাখা হয় সেটা এই বিপুল তাপমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল। যার জেরেই এই বিপত্তি। তারপরেই সেটা বাড়তে বাড়তে ট্যাঙ্কের মধ্যে লিক তৈরি করেছিল। সেফটি ভাল্ভ তার জেরেই লিক করতে শুরু করেছিল বলে জানা গিয়েছে।
নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে তাপমাত্রা
সেই বিপুল পরিমান তাপ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। শুক্রবার তাপমাত্রা কমিয়ে ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার সেই তাপমাত্রা আরও কমিয়ে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমিয়ে আনা হয়েছে। যদিও এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। পুরোটাই গ্যাসটাকেই কঠিন পর্যায়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
গ্যাস লিক বিপর্যয়
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই গ্যাস লিক শুরু হয়েছিল ভাইজ্যাগে এলজি পলিমারের কারখানা থেকে। বিষাক্ত স্টায়ারিন গ্যাসে বাতাসের সঙ্গে মিশতে শুরু করে। মুহূর্তে জ্ঞান হারিয়েছিল অসংখ্যমানুষ। তারমধ্যে প্রায় ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অন্যত্র।
নজরদারি চলছে এলাকায়
ঘটনার পরেই ভাইজ্যাগের কারখানা সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গোটা এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিস। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। কারখানা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা না হওয়া পর্যন্ত নিরাপদ দূরত্বে থাকতে বলা হয়েছে।