মহারাষ্ট্রেও 'হর্স ট্রেডিং'! বিধায়ক প্রতি ৫০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগ
মহারাষ্ট্রে দল বদলানোর জন্য বিধায়কদের ২৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার শুক্রবার অভিযোগ করেছেন যে মহারাষ্ট্রে দল বদলানোর জন্য বিধায়কদের ২৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। কংগ্রেস বিধায়কদের ফোন করে এই টাকা অফার করা হচ্ছে বলেও তাঁর অভিযোগ।
কংগ্রেসের অভিযোগ
কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেত্তিয়ার মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেছেন, শিবসেনার এক বিধায়ককে নাকি দল বদলানোর জন্য ৫০ কোটি টাকা অফার করা হয়েছে। সাংবাদিকদের কাছে এমনই অভিযোগ করেছেন এই কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেছেন, বিধায়কদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন কোনও ফোন এলেই তা রেকর্ড করতে। যাতে রাজ্যের মানুষ আসল রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা জানতে পারেন। এবং এক্ষেত্রেও কংগ্রেস নেতা সেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।
অস্বীকার বিজেপির
ওয়াদেত্তিয়ারের অভিযোগ, বিজেপি রাজনীতিকে অত্যন্ত নিচে নিয়ে গিয়েছে। যদিও বিজেপি তরফে এমন বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
গোলমেলে অবস্থা
মহারাষ্ট্র বিধানসভার এবারের নির্বাচনে বিজেপি ১০৫টি আসন পেয়ে সবচেয়ে বড় দল হিসেবে উঠে এসেছে। তাদের জোটসঙ্গী শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। তবে এই দুই দল একসঙ্গে জোট করে এখনও সরকার গড়তে পারেনি। কারণ শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রী পদে ৫০-৫০ ভাগ চেয়ে বসে আছে। এবং তা মানা না হলে তারা সরকারে অংশগ্রহণ করবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। যার ফলে ফলাফলের দুই সপ্তাহ পর এখনও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠিত হয়নি।
সরকার গড়ার অবস্থায় নেই বিরোধীরা
অন্যদিকে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে এনসিপি ৫৪টি ও কংগ্রেস ৪৪টি আসনে জয়লাভ করেছে। ২৮৮ বিধানসভার মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। বিজেপি-শিবসেনা যৌথভাবে সেই আসন পেলেও এখনও তারা সরকার গঠন করে উঠতে পারেনি।
মধ্যরাতের সময়সীমার আগেই পদত্যাগ ফড়নবিশের, মহারাষ্ট্র কী তবে রাষ্ট্রপতি শাসনের পথে?