সিএএ বিরোধীদের ছবিতে ছেয়ে গিয়েছে লখনউ! যোগীর আদেশে ফের অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কা
উত্তরপ্রদেশ সরকারের অভিনব এক পদক্ষেপে লখনউ শহর এখন ছেয়ে গিয়েছে পোস্টারে পোস্টারে। তাতে সিএএ বিক্ষোভে জড়িতদের ছবি, নাম ও ঠিকানা লেখা। গত ডিসেম্বরে সিএএ বিরোধিতায় উত্তাল হয়ে ওঠে যোগী রাজ্য। সেই পরিস্থিতিকে শান্ত করতে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপও নেওয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় মোবাইলের ইন্টারনেট পরিষেবাও। এবার বিক্ষোভে জড়িতদের নাম এভাবে প্রকাশ্যে প্রচারে নতুন আশঙ্কা দানা বাঁধছে সেরাজ্যে।
হোর্ডিং লাগানো হয়েছে যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে
আদিত্যনাথ সরকারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, হিংসায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সেই কথা মেনেই এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। জানা গিয়েছে যোগী আদিত্যনাথ স্বয়ং এই হোর্ডিংগুলি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সিএএ বিরোধিতায় হিংসা ছড়ায় উত্তরপ্রদেশে
উত্তরপ্রদশের বিভিন্ন শহরে যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বাস,গাড়িতে আগুন লাগানো হচ্ছিল, তখনই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন যে যারা এমন কাজ করেছেন, তাদের থেকেই নেওয়া হবে এর ক্ষতিপূরণ। সেই মতো বেশ কয়েকটি পরিবারের কাছে ইতিমধ্যে নোটিশও পৌঁছে গিয়েছে যোগী সরকারের তরফ থেকে। এখন প্রশ্ন উঠেছে, সরকার যখন নোটিশ পাঠিয়ে দিয়েছিল তখন কেন এভাবে জনসমক্ষে অভিযুক্তদের নাম-ধাম প্রকাশ করা হচ্ছে। এতে অশান্তি বাড়ার আশঙ্কা অনেক প্রবল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
সনাক্ত করা হয় বিক্ষোভকারীদের
যে দিন লখনউ থেকে কানপুর অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সেদিনই যোগী আদিত্যনাথের তরফে সাফ বার্তা এসেছিল যে , যারা সরকারী সম্পত্তি নষ্ট করেছে, তাদের 'যোগ্য জবাব' দেওয়া হবে। তখনই তিনি জানিয়ে দেন, সরকারী সম্পত্তি নষ্ট যারা করেছে , তাদের থেকেই নেওয়া হবে এর ক্ষতিপূরণ। এজন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করা হয় বিক্ষোভকারীদের।
যোগীর নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় এলাহাবাদ হাইকোর্ট
এদিকে যোগী সরকারের এমন নির্দেশিকার পর ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ উত্তরপ্রদেশের মুসলিমদের প্রতি আবেদন রেখেছিল যে, আদালতের নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত যেন কেউ যোগী সরকারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ কোনও টাকা না দেয়। এরপর এলাবাদ হাইকোর্টও যওগী সরকারের এই নোটিশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। এই নোটিশের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে আদালতে।
যোগী সরকারের পদক্ষেপে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে!
তবে এখন এভাবে জনসমক্ষে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ্যে আসায় শঙ্কায় অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরাও। তাদের আশঙ্কা, যদি জনরোষ গিয়ে তাদের বাড়ির উপর পড়ে সেই ক্ষেত্রে ফের অশান্ত হয়ে উঠবে উত্তরপ্রদেশ। প্রশ্ন উঠছে মানুষের মনে ভয় সঞ্চার করতেই কি এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার?