হিটলার-মুসোলিনিও গণতন্ত্রের ফসল, বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতা রাম মাধবের
হিটলার-মুসোলিনিও গণতন্ত্রের ফসল, বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি নেতা রাম মাধবের
এডলফ হিটলার ও বেনিটো মুসোলিনি উঠে এসেছিলেন গণত্নত্র থেকেই। বিতর্কিত এই মন্তব্য করলেন বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দমনের অভিযোগ তুলে বিরোধীরা যখন হিটলার-মুসোলিনির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর তুলনা টানছেন তখন এই মন্তব্য করেন রাম মাধব। তিনি আরও বলেন, 'ভারতীয় গণতন্ত্র অনেক প্রাণবন্ত হয়ে গেছে। এর নিজস্ব বাধা এবং ভারসাম্যতা রয়েছে।'
হিটলার ও মুসোলিনি গণতন্ত্রের পণ্য ছিল
দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে নিজের মতামত প্রকাশ করে মাধব বলেন, 'হিটলার ও মুসোলিনি গণতন্ত্রের পণ্য ছিল। তখন থেকে আজ অবধি বিশ্বে উদার গণতন্ত্র এখনও বজায় রয়েছে। গণতন্ত্র সময়ের সাথে সাথে পরিপক্ক হয়। ভারতে গণতন্ত্র আসলে কি এগিয়ে চলেছে? এই প্রশ্নটি উত্থাপিত হওয়ার সত্যতা প্রমাণ করে যে ভারতীয় গণতন্ত্র প্রাণবন্ত হয়ে গেছে, তার রয়েছে নিজস্ব বাধা এবং ভারসাম্যতা।'
নাগরিকত্ব সংধনী আইনের পক্ষে যুক্তি
নাগরিকত্ব সংধনী আইনকে সাম্প্রদায়িক বলে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। যদিও রাম মাধব বলেছেন, 'এই আইনে বিন্দুমাত্র পক্ষপাত নেই। ১৯৫৫ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত যাঁরা এদেশে এসেছেন ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে, এই আইন শুধু তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। এর বাইরে আর কিচ্ছু নয়।'
গণতান্ত্রিক ভাবে পাশ হয়েছে বিলটি
আলোচনা চলাকালীন রাম মাধব আরও বলেন, 'অত্যন্ত গণতান্ত্রিক ভাবেই এই আইনটি পাশ হয়েছে। সংসদে বিল পেশ হয়েছে, আলোচনা হয়েছে, তারপর ভোটাভুটির মাধ্যমে আইনটি পাশ হয়েছে। যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা গণতন্ত্রকে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে রাস্তায় নেমে এনেছেন। সরকার সমালোচনা শুনতে প্রস্তুত। কিন্তু কোনও হিংসাকে বরদাস্ত করা হবে না। আন্দোলনকারীরা এমন সব কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে মৃত অবস্থা থেকে বাঁচিয়ে তুলে ওসামা বিন লাদেনের হাতে যদি শাসন ক্ষমতা থাকত তাহলে বুঝি ভাল হতো।'
ভারত ও চিন সম্পর্কে ট্রাম্পের 'অজ্ঞানতা’ দেখে বিস্মৃত মোদী