বিচারকের সামনেই হাউ হাউ করে কান্না বাবা রামের, রোহতক জেলে চরম নাটক
সাজা ঘোষণার পরেও চূড়ান্ত নাটক গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের, কেঁদে ভাসালেন রাম রহিম ।
রঙীন, ঝলমলে নাটকীয় জীবনযাপন শেষটাও হল নাটক দিয়েই। রোহতক জেলেও সাজার শুনানি চলাকালীন চূড়ান্ত নাটক করলেন ধর্ষক বাবা গুরমিত রাম রহিম সিং। বিচারকের সামনেই কেঁদে ভাসালেন তিনি। নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমাও চাইলেন। কখনও আবার নিজের সমাজসেবার খতিয়ান তুলে ধরলেন।
অবশ্য এসব করেও বিচারকের মন গলাতে পারেননি তিনি। সংক্ষিপ্ত শুনানির শেষে বিচারক জগদীপ সিং জানিয়ে দেন, ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধের জন্য জেলের ঘানিই টানতে হবে তাঁকে। আর সেটা ৭ বছর নয়, ২০ বছর জেল খাটতে হবে গুরমিত রাম রহিম সিংকে। বিচারকের ঘোষণার পরেও নাটক ছাড়েননি ধর্ষক বাবা। তাঁর অভিনয়ের মতই এদিনও বিচারকের সামনে ছিল অতি- নাটকীয়তা। সাজা ঘোষণার পরই চেয়ার ছেড়ে ধপ করে মেঝেতে বসে পড়েন তিনি। মেঝেতে বসেই কুম্ভিরাশ্রু বইতে থাকে তাঁর।
[আরও পড়ুন:ছায়াসঙ্গিনী হানিপ্রীতের সঙ্গে জেলে থাকতে চেয়েছিলেন রাম রহিম, জানুন পরের ঘটনা ]
রাম রহিমকে এভাবে মেঝেতে বসে পড়তে দেখে তিনি অসুস্থ বলেই মনে হয়েছিল উপস্থিত জেল আধিকারিকদের। কিন্তু শারীরিক পরীক্ষার পরই ফের বাবার পর্দাফাঁস। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিলেন, কোনও সমস্যাই নেই রাম রহিমের। রক্তচাপও একেবারেই স্বাভাবিক। ফলে সাজা ঘোষণার পরের নাটকও কাজে এল না ধর্ষক বাবার।
সাজা ঘোষণার পর বিচারক ও পাঁচ আইনজীবী বেরিয়ে যাওয়ার পরই কয়েদিদের পোষাক ধরিয়ে দেওয়া হয় রাম রহিমের হাতে। ফলে তাঁর ঝলমলে রঙীন পোষাক ছেড়ে এবার আর পাঁচটা কয়েদিদের পোষাক পরেই আগামী ২০ বছর কাটাতে হবে ধর্ষক ধর্মগুরুকে।