উচ্চ প্রবৃদ্ধি, মাঝারি মুদ্রাস্ফীতি, দেশের অর্থনীতি নিয়ে রাজ্যসভায় আশাবাদী নরেন্দ্র মোদী
দেশের অর্থনীতি নিয়ে রাজ্যসভায় আশাবাদী নরেন্দ্র মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২) রাজ্যসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উত্তর দিয়েছেন এবং কোভিড–১৯ মহামারি থেকে শুরু করে দেশের অর্থনীতি নিয়েও মন্তব্য করেন মোদী। করোনা মহামারি প্রসঙ্গে মোদী জানিয়েছেন গত ১০০ বছরে মানবজাতি এ ধরনের সঙ্কট কখনও দেখেননি। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, 'এই সঙ্কট তার রূপ বদলায় এবং মানুষের জন্য সমস্যা তৈরি করে। সমগ্র দেশ ও বিশ্ব এর বিরুদ্ধে লড়ছে।’
কেন্দ্রের বিভিন্ন উদ্যোগ মহামারির সময়
মোদী এদিন রাজ্যসভায় জানিয়েছেন যে কেন্দ্র কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন সমাজের সমস্ত প্রতিকূলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সামাজিক গোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তিনি এও জানিয়েছেন যে এই উদ্যোগগুলি দেশবাসীকে এই পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগাবে। মোদী এদিন বলেন, 'করোনার এই মহামারি সময়ে ৮০ কোটিরও বেশি দেশবাসীকে বিনামূল্যে রেশন দিয়ে বিশ্বের সামনে উদাহরণ তৈরি করেছে ভারত।'
ভারতে বিশ্বের বৃহৎ কোভিড–১৯ টিকাকরণ কর্মসূচি
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান যে দেশ ভারতীয় এবং তার প্রতিবেশী উভয়ের জন্যই 'মেক ইন ইন্ডিয়া' ভ্যাকসিনের মাধ্যমে বিশ্বের বৃহত্তম কোভিড-১৯ টিকাদান অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং দেশের নাগরিকদের থেকে অনুপ্রেরণা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বের কাছে নজির স্থাপন করেছে।
নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন দেশগুলো
প্রধানমন্ত্রী কোভিড পরিস্থিতির পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি ও দেশের অর্থনীতির উন্নতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি জানান যে এই মুদ্রাস্ফীতি গোটা বিশ্বের ওপর প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, 'আমেরিকা ৪০ বছরের মধ্যে এবং ব্রিটেন ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে।' তিনি আরও যোগ করে বলেন, 'তাদের মুদ্রা হিসাবে ইউরো অভূতপূর্ব মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতির মুখে পড়ে আমরা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। ২০১৫-২০২০-এর মধ্যে এই হার ছিল ৪-৫% এর মধ্যে। তবে ইউপিএ আমলে মুদ্রাস্ফীতি দুই অঙ্কে ছিল। আজ, আমরাই একমাত্র বড় অর্থনীতি যা উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং মাঝারি মুদ্রাস্ফীতির সম্মুখীন হয়েছি।'
সরকার আরও এমএসপি দিয়েছে
এদিন কৃষিক্ষেত্র নিয়েও মোদী জানিয়েছেন যে কৃষি ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই তা নিশ্চিত করতে, সরকার সরাসরি সুবিধা স্থানান্তর প্রকল্পের অধীনে আরও এমএসপি দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'প্রথম লকডাউনের সময় অনেক আলোচনা-বৈঠকের পর এবং একটু সাহস দেখিয়ে গ্রামের কৃষকদের লকডাউন থেকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ছিল, যার ফলে মহামারি চলাকালীনও আমাদের কৃষকদের ব্যাপক উৎপাদন ছিল।' কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মোদী বলেছেন, 'প্রথম কোভিড-১৯ ওয়েভের তুলনায় ভারতে নিয়োগের প্রবণতা বেড়েছে। আমাদের সরকার আইটি সেক্টরে ২৭ লক্ষের বেশি চাকরি তৈরি করেছে।'