ফড়নবিশের অবস্থা দেখে মুচকি হাসছেন কুমারস্বামী, মনে করালেন কর্ণাটকের কথা
মহারাষ্ট্রে এবার আর বিজেপির সরকার গঠন হচ্ছে না। বিধানসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও বিজেপির জোট সঙ্গী শিবসেনা তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় ম্যাজিক ফিগার জোগাড় করতে পারেনি গেরুয়া শিবির।
মহারাষ্ট্রে এবার আর বিজেপির সরকার গঠন হচ্ছে না। বিধানসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও বিজেপির জোট সঙ্গী শিবসেনা তাদের ছেড়ে চলে যাওয়ায় ম্যাজিক ফিগার জোগাড় করতে পারেনি গেরুয়া শিবির। যার ফলে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের পরও পিছিয়ে আসতে হয়েছে। সর্বসমক্ষে জানাতে হয়েছে তার হাতে পর্যাপ্ত বিধায়ক নেই। ফলে আগামী পাঁচ বছর তারা বিরোধী আসনে বসবেন।
মহারাষ্ট্রে এবার সরকার গঠন করতে চলেছে শিবসেনার নেতৃত্বে নয়া জোট। বিজেপি বিক্ষুব্ধ এনসিপি নেতা অজিত বরকে নিয়ে সরকার গঠন করার চেষ্টা করে বিফল হয়েছে। অজিত পাওয়ার সেই ফিরে গিয়েছেন নিজের পরিচিত শিবির এই। এদিকে একলা হয়ে গিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। বিরোধী শিবিরের কোনো নেতাকেই নিজের দলে টানতে পারেননি তিনি।
এই ঘটনা সামনে আসতেই পাশের রাজ্য কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী টিপ্পনি কাটেন। তিনি বলেছেন, পর্ন বিষয়ের সঙ্গে যোগ হয়েছে সেই ঘটনায় তার নিজেকে সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে বিবেচনা করার কথা। কারণে বিজেপির জন্যই কর্নাটকের সরকার পড়ে গিয়েছে। তাকে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতে হয়েছে। কুমারস্বামীর কথায়, সময় সবকিছু সুদে-আসলে ফিরিয়ে দেয়। তাই মহারাষ্ট্রে ফড়নবিশ আর বিজেপির বর্তমান অবস্থা দেখে কর্নাটকে বসে হাসছেন কুমারস্বামী।
প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল ২০১৮ সালে কর্নাটকে ঠিক একইভাবে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল ভোটে। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় সরকার গড়তে পারেনি। বিরোধী কংগ্রেস ও জেডিএস জোট গঠন করে সরকার গড়ে। তবে অভিযোগ, বিএস ইয়েদদুরাপ্পা নেতৃত্বাধীন কর্নাটকের বিজেপি দল অনৈতিকভাবে বিধায়কদের কেনাবেচা করে, ভয় দেখিয়ে সরকার ভেঙে দেয়। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় কুমারস্বামীকে। এখন মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে ও একই ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় টিপ্পনী কাটে ছাড়লেন না কুমারস্বামী।