হাত ছাড়লেন হার্দিক , সহস্তে তুলে নিলেন পদ্মের পতাকা
সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়েছেন হার্দিক প্যাটেল। গুজরাট নির্বাচনের কয়েক মাস আগে আজ বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন তিনি। অনেকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। জানাও ছিল তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। আজকেই যে তিনি দল পরিবর্তন করছেন সেটাও জানা ছিল। শুধু ছিল সময়ের অপেক্ষা এবং অঙ্গে গেরুয়া বসন জড়িয়ে হার্দিকের একটা ফটো ফ্রেম তৈরি হওয়া। তা আজ সম্পূর্ণ হল।
গুজরাতের গান্ধীনগরে বিজেপি অফিসে গেরুয়া স্কার্ফ এবং পদ্ম আঁকা টুপি দিয়ে ২৮ বছর বয়সী যোগ দিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তাঁকে স্বাগত জানানো হয় মহা সমারোহে , কারণ গুজরাত নির্বাচনের আগে এটা বিপক্ষ শিবিরে বড় ধাক্কা ছিল নিঃসন্দেহেই।
এদিন সকালে, পতিদার নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে "জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু" করা এবং "ছোট এক সৈনিক" হিসাবে কাজ করার বিষয়ে টুইট করেন। তিনি হিন্দিতে যা লিখেছিলেন তা বঙ্গানুবাদ করলে দাঁড়ায় , "আমি জাতীয় স্বার্থ, আঞ্চলিক স্বার্থ এবং সামাজিক স্বার্থের অনুভূতি নিয়ে একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে জাতীয় সেবার বিশাল কাজের উদ্দেশ্যে আমি একজন ছোট সৈনিক হিসাবে আমি আমার কাজ করব।"
হার্দিক প্যাটেল, তিনি পতিদার সম্প্রদায়ের সংরক্ষণের জন্য আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং এর পরেই তিনি রাজনৈতিক পটচিত্রে ধীরে ধীরে প্রবেশ করেন। তাঁকে সামনে রেখে অনেকটাই গুজরাতে এগিয়েছিল কংগ্রেস কিন্তু মোদী ঝড়া কার্যত বারবার উড়ে যাচ্ছিল কংগ্রেস। সেই সময় বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিদিন সুর চড়াতেন হার্দিক। বিজেপি পতিদার সম্প্রদায়ের জন্য ভাবছে না, কিছু করছে না এসব নানা প্রসঙ্গ তুলে তিনি সরব হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। আজ সেই হার্দিকই কিনা বিজেপিতে যোগ দিলেন হাতের হাত ছেড়ে।
হার্দিক প্যাটেল কংগ্রেসের সঙ্গে ঘর করা শুরু করেছিলেন ২০১৯ সালে৷ তিন বছর যেতে না যেতেই সে দলে আর তাঁর মন টিকল না। এই মাসের শুরুতে দল ছেড়ে দেওয়ার সময়, তিনি সেই ব্যক্তিকে টার্গেট করেছিলেন যিনি তাকে কংগ্রেসে নিয়ে এসেছিলেন। রাহুল গান্ধীকে তিনি চিঠিতে তিনি লিখেছেন গুজরাতের কংগ্রেস নেতারা নিজেরটুকু বুঝে নিতেই ব্যাস্ত। এছাড়া কিছু বোঝেন না , তাঁর কথায় পাত্তা দেওয়া হয় না। তাঁর সুবিধা অসুবিধা নিয়েও বলেন তিনি।
তাঁর বাবার মৃত্যুর পর তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতেও আসেনি। এটা তাঁর আরও বেশি ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তিনি বলেছিলেন যে দল নিজের কর্মীর দুঃখে তাঁর পাশে দাঁড়ায় না সেই দল রাজ্যের মানুষের পাশে দাঁড়াবে কীভাবে? দেশের মানুষের পাশে তো আরই পারবে না।