মোদীর গুজরাতে বাজিমাত করতে এবার হার্দিক প্যাটেলকে সেনাপতি নিয়োগ কংগ্রেসের
হার্দিক প্যাটেলকে কংগ্রেসের গুজরাত রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করলো কংগ্রেস। শনিবার দলীয় বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। গত ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন পাতিদার আন্দোলন থেকে উঠে আসা নেতা হার্দিক প্যাটেল।
তাছাড়া এদিন হার্দিক প্যাটেলের সঙ্গেই মহেন্দ্রনাথ পারমার আনন্দের, আনন্দ চৌধুরীকে সুরাতের এবং ইয়াসিন গাজ্জানকে দেবভূমি দ্বারকার জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনের আগে তৎকালীন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দেন পাতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল। কংগ্রেসে যোগ দিয়ে হার্দিক বলেছিলেন, 'আমি এমন একটা দলে যোগ দিলাম যেটা পূর্বে সুভাষচন্দ্র বসু, পন্ডিত নেহরু, সর্দার প্যাটেল, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, যাঁরা দেশকে শক্ত করে গড়তে কাজ করেছেন।'
তবে কগ্রেসে যোগ দিলেও নির্বাচনে লড়া হয়ে ওঠেনি হার্দিকের। ২০১৫ সালের এক ঘটনায় হার্দিক প্যাটেলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চলছে এবং সেই কারণে গত নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে ৩ থেকে ৫ হাজার জনগণ পাতিদার সংরক্ষণ আন্দোলন করেছিলেন। সরকারি চাকরিতে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সংরক্ষণের দাবিতে এই আন্দোলন হয়। সেইসময় বিজেপি বিধায়কের অফিসে হামলা হয়। অনেকে প্রাণ হারান। ঘটনায় পাতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি-র নেতা সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। হার্দিক প্যাটেল সহ অনেকের বিরুদ্ধে অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রদ্রোহ ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছিল। তখন হার্দিক প্যাটেলকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তিনি জামিন পেয়ে যান।
এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাতে ২০টি মামলা চলছে। যার বেশিরভাগই পাতিদার আন্দোলনের সময় করা হয়েছিল। গত ১৮ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে তিনি জামিন পান।